বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ভাতা কেড়ে নিয়ে খেয়ে ফেলবে : তথ্যমন্ত্রী

6

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ভাতা চালু করেছিলেন। বিএনপি এসে সেই ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সময় প্রতি ইউনিয়নে দুই-চার পাঁচজনে ভাতা পেতো, সবমিলিয়ে শত-দুইশত মানুষ পেতো। এসব পেতো বিএনপি নেতাদের কাজের ছেলেসহ তাদের আত্মীয়-¯¦জনরাই। সাধারণ মানুষ পেতো না। আওয়ামী লীগ সরকার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নানাধরণের ভাতা পাচ্ছে। তারা যদি আবার ক্ষমতায় আসে তবে ভাতাগুলো কেড়ে নিয়ে তারা খেয়ে ফেলবে’।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলো। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সেখানে গরু বেঁধে রেখেছিলো। আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে গরু-ছাগল সড়িয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছে। বর্তমান দেশে সবমিলিয়ে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে’।
গতকাল সোমবার বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালী সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী। ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রণির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে। রমজান, ঈদ, কোরবান, পূজা-পার্বনে ফ্রি চাল দিচ্ছে, টিসিবি, ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নানাধরণের সহায়তা দিচ্ছে। সন্তান স্কুলে গেলে মায়ের মোবাইলে টাকা চলে আসে। এসব সহায়তা আগের কোনো সরকার করেনি। যে সরকার রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট করে দেবে, যে সরকার মানুষকে বিনামূলে এতো সহায়তা করবে সেই সরকারের পক্ষে থাকা আমাদের সকলের নৈতিক কর্তব্য’।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারের পাাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবে করোনার সময় ফ্রি মাস্ক, সেনিটাইজার এবং পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছি। প্রতিটি ঈদ, কোরবান, পূজা-পার্বন, দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নতুন কাপড়, ফ্রি চাল, ডালসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত শীত মৌসুমে ১০ হাজার মানুষকে কম্বল দিয়েছি। যারা লম্বা লম্বা কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনোদিন একমুঠো চাল কাউকে দেয়নি। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতেও নৌকা মার্কার সরকারকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহŸান জানাই’।