বাড়ল জামানত, সহজ হল স্বতন্ত্র প্রার্থিতা

7

আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধি সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন, যাতে বেড়েছে জামানতের অংক। চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকা জমা দেওয়ার বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী এনে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে আগামী উপজেলা নির্বাচনেই এসব বিধান কার্যকর হবে। সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল এক অষ্টমাংশ। খবর বিডিনিউজের।
এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন তারা।
নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে সংশোধিত বিধিমালায়। আগামী মে মাসে চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের আয়োজন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৪ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ২৫ মে ভোট হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।
এর মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করল ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ২৫০ জন ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের যে তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হত, এবার তা দিতে হবে না।

তফসিল বৃহস্পতিবার : নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) কমিশন সভা রয়েছে। ভোটের তারিখ তো আগেই জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল কাল (আজ) হতে পারে।
রঙিন পোস্টারের অনুমতি নিয়ে এক প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন সাদাকালো পোস্টার ছাপানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল। তাই রঙিন পোস্টারের বিধান আনা হয়েছে।