বান্দরবানে জলকেলিতে মেতেছে পাহাড়ী তরুণ-তরুণীরা

7

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানে জলকেলিতে মাতোয়ারা মারমা তরুণ-তরুণীরা। সাংগ্রাই উসৎবে প্রধান আকর্ষণ জলকেলি। জলকেলি উৎসবে বান্দরবানের মারমা শিশু-কিশোর,তরুণ-তরুণীরা মেতে উঠেছে এই পানি খেলায়। পানি খেলার মাধ্যমে পুরনো বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট, গøানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে তারা। তবে এটি এখন শুধু মারমাদেরই না এই উৎসব এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। পুরো জেলা শহরজুড়ে চলছে পানি খেলা। শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী এমনকি বয়স্করাও একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলা শহরের রাজার মাঠে জলকেলিতে অংশ নেওয়া তরুণ-তরুণীদের একে অপরের গায়ে পানি ঢেলে মৈত্রী পানিবর্ষণ প্রতিযোগিতা মেতে উঠেন। পানি খেলার উদ্বোধন করেন বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুর উশৈসিং।এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে জলকেলি উৎসবে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে নারী-পুরুষ জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠেন মারমা তরুণ-তরুণীরা। পানি খেলার পাশাপাশি আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এতে নেচে- গেয়ে মাতিয়েছেন পাহাড়ি শিল্পীরা। অপরদিকে রাতে পাড়া-মহল্লায় মারমা তরুন-তরুনীরা রাত জেগে পিঠা তৈরি করে এবং ভোরে তা বিহারে বিহারে নিয়ে গিয়ে প্রবীণদের মিষ্টিমুখ করানোর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব।
এদিকে পানি খেলা দেখতে আশেপাশের শত শত পাহাড়ি নারী-পুরুষ এবং দেশি পর্যটকরা ভিড় জমান জলকেলি উৎসব দেখতে। এই উৎসবে পানি খেলা ছাড়াও পিঠা তৈরি, বুদ্ধমূর্তি স্নান, ক্যায়াং ক্যায়াংয়ে ছোয়াইং দান,হাজার প্রদীপ প্রজ্বলন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে।সাংগ্রাই উৎসবে পানি খেলার পাশাপাশি আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নেচে-গেয়ে মাতিয়েছেন পাহাড়ি শিল্পীরা। মারমা শিল্পীগোষ্ঠী ছাড়াও পাহাড়ের নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের পরিবেশনাও মুগ্ধ করে দর্শক- শ্রোতাদের। অপরদিকে জলকেলি উৎসবের উদ্ধোধনী অনুষ্টানে সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন,একটি সম্প্রীতির জেলা বান্দরবান। বাংলা নববর্ষের পাশা-পাশি পার্বত্য জেলার সকল সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব মিলেমিশে এবং শান্তিপুর্ণ ভাবে উৎসব উপভোগ করেছে।