বান্দরবানের ব্যবসা বাণিজ্য থমকে গেছে

51

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বান্দরবানের দুটি পৌর এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়। সেখানে এখন চলছে লকডাউন। জেলার আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে হলুদ, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানছি উপজেলাকে সবুজ জোন ঘোষণা করা হয়।
গত ২৫ জুন সকাল থেকে বান্দরবান সদর ও লামা পৌরসভায় কঠোরভাবে চলছে লকডাউন। লকডাউনের কারণে বান্দরবানে ওষুধের দোকান ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ। রেড জোন ঘোষণার শুরু থেকে বান্দরবান পৌরসভায় পক্ষ থেকে ৯টি ওয়ার্ডে লকডাউন কার্যকর করতে ১শ ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের মাধ্যমে ওয়ার্ডভিত্তিক জনগণকে সেবার কার্যক্রম শুরু করা হয়। সাধারণ জনগনকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শাক-সবজি, কাঁচামাল বিক্রির ব্যবস্থা করছে পৌর প্রশাসন।
এদিকে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১০ জুন দুপুর থেকে টানা বান্দরবান সদর উপজেলা ও রুমা উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা এবং লকডাউনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে ছিলেন। পরে ২৫ জুন সকাল থেকে আবারও বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভাকে ২১ দিনের জন্য নতুন ভাবে লকডাউন ঘোষণা করে স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন। টানা লকডাউনে বড় ধরনে প্রভাব পড়েছে বান্দরবানে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়। বলতে গেলে হাহাকার পরিস্থিতি বিরাজ করছে জেলা শহরে। এ পরিস্থিতিতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন তাদের গুনতে হচ্ছে লোকসান।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, করোনার কারণে গত ১৯ মার্চ থেকে বান্দরবানের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরা এবং পরিবহন সেক্টরসহ সবধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম সংকটে পড়তে হয়েছে বান্দরবানে সংশ্লিষ্ট ব্যাসায়ীদেরকে। বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যেভাবে লকডাউন চলছে, এতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। তিনি মনে করেন, জনগণের সুরক্ষার জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইকে বুঝতে হবে এবং এ লকডাউনকে গুরুত্ব দিয়ে সবাইকে ঘর থাকতে হবে। লকডাউন চলকালে চিকিৎসক, মানবিক সহায়তা, কৃষি উপকরণ ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সাধারণ জনগণের জন্য ভ্রাম্যমাণ ভ্যানগাড়িতে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শাক-সবজি, কাঁচামাল বিক্রির ব্যবস্থা করছে পৌর প্রশাসন।