বাঁশখালীতে জিডির ছয় দিনের মাথায় হত্যাচেষ্টা

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীতে মারধর ও হত্যার হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করার ছয় দিনের মাথায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষরা। গত শনিবার ছনুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় গুরুতর আহত মৌলভী জাকের আহমদের ছেলে মো. আনচ (৪০)’কে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে আহত আনচের ছোটভাই রোকন উদ্দিন বাদি হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক পূর্বদেশকে বলেন, ‘বিরোধের জের ধরে ছনুয়ায় এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাবো।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, ছনুয়া ইউনিয়নের বাদির বসতঘরের উঠান থেকে মারধরের উদ্দেশ্যে আনচকে তুলে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা। আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আহতের বাড়ি থেকে ১০০গজ পশ্চিমে জনৈক টিটুর জমিতে নিয়ে লাঠি ও লোহার রড় দিয়ে বেদম মারধর করে। দফায় দফায় পিটানোর কারণে আহত ব্যক্তি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। একজনকে তুলে নিয়ে পিটানোর ঘটনা জানাজানি হলে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়া হয়। পরে বাঁশখালী থানা পুলিশ গিয়ে টিটু নামে এক ব্যক্তির জমি থেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় আহত আনচকে উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রথমে বাঁশখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে আহত ব্যক্তি চমেক হাসপাতালের ২৬নং ওয়ার্ডের ৪৯নং বেডে চিকিৎসাধীন আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করায় আহত ব্যক্তির বাম পায়ে মারাত্মক জখম হয়েছে। মাথায় কাটাছেড়া হয়েছে। পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।
মামলার বাদি রোকন উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আমার ভাইকে মারধর করেছে। সৈয়দুল মোস্তফা ও তার ভাইয়েরা আমাদেরকে নিয়মিত হুমকি দিতো। বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দেয়ার কারণে গত ৫ ফেব্রুয়ারি থানায় জিডি করি। জিডির ৬ দিনের মাথায় আমার ভাইয়ের উপর হামলা করেছে। বেদম মারধরে আমার ভাইয়ের বাম পা থেতলে গেছে। মাথাও ফেটে গেছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’