বাঁশখালীতে আগুনে পুড়েছে ৬৫ বসতঘর

24

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঁশখালী উপজেলায় ৬৫টি বসতঘর আগুনে পুড়ে গেছে। গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার জলদাস পাড়ায় এই অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটৈ। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, মাছ ধরার সরঞ্জাম এবং নগদ অর্থ পুড়ে গেছে। মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
এদিকে খবর পেয়ে দুপরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার টাকা, ১ বান্ডিল করে ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকা, ৩০ কেজি চাল, ১৫ কেজি শুকনো খাবার ও পরিবার প্রতি ৫টি করে কম্বল প্রদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরীসহ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জলদাস পাড়ার মিলন জলদাসের বাড়িতে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাÐের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাÐে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো- মৃদল দাস, বাদল দাস, সমীরণ দাস, সম্পদ দাস, সুকুমার দাস, রাজকুমার, সুধীর দাস, স্বপন দাস, রঞ্জুত দাস (দুই পরিবার), হরি দাস, রতন দাস, পরিতোষ দাস, সাগর দাস (পাঁচ পরিবার), সুরেশ দাস, হরিপদ দাস, গুরুধন দাস, মধুরাম দাস, শ্রীনন্দ দাস, সন্দা মোহন দাস, সমীরণ দাস (দুই পরিবার), গোপাল দাস (৪ পরিবার) মতিলাল দাস (দুই পরিবার), রাম প্রসাদ (৪ পরিবার), ভাটি রাম দাস (তিন পরিবার), রাখাল দাস, জদু রাম দাসেরসহ ৩২ বসতঘর।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার নুরুল বাশার বলেন, চাম্বল ইউপি’র বাংলাবাজারের অদূরে পশ্চিম চাম্বল জলদাস পাড়ায় অগ্নিকাÐের খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা ধরে আমরা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ভোরে জলদাস পাড়ায় ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে জেলেদের ৬৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে আনুমানিক দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।’