বঙ্গবন্ধু হত্যা স্বাধীন বাংলাদেশ হত্যার ষড়যন্ত্র : তথ্যমন্ত্রী

30

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা শুধু ব্যক্তি হিসেবে নয়, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি, এদেশ স্বাধীনতা পাক, তা চায়নি- সেই বিদেশি চক্র এবং যারা স্বাধীনতার পরও পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।-খবর বাংলানিউজের
বঙ্গবন্ধুকে চিরঞ্জীব উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন। সেই ষড়যন্ত্রকারীরাই মুছে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার আমলে দেশের প্রচলিত বিচার পদ্ধতিতেই ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কোনো জিঘাংসা থেকে নয়। বিচার সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ পলাতক খুনি ও বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের বিচার এখনও হয়নি। এজন্য একটি কমিশন গঠন করে বিচার সম্পন্ন করা উচিত। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও বিচার প্রতিষ্ঠার উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট হচ্ছে কি-না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শোক দিবসে অন্য বিষয়ে কথা বলতে চাই না। এটা সত্তে¡ও আপনারা প্রশ্ন করেছেন বিধায়ই বলছি, লক্ষ্য করলে দেখবেন, দেশে গত দশ বছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে পশু কোরবানি দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ট্যানারির সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেনি। যদিও অনেক চামড়াশিল্প প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বেড়েছে। স¤প্রতি চামড়াশিল্প মালিকরা চামড়া রপ্তানির বিরোধিতা করেছেন। সেক্ষেত্রে যদি তারা নিজেরা সব চামড়া কিনে নেবার ঘোষণা দিতেন, তাহলে চামড়ার দরপতন রোধ হতো।
সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হয় শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা, সর্বোপরি জনগণ ও রাষ্ট্রের কথা বিবেচনা করে স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান বলেন, তবে সরকার এক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকারের সভাপতিত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক, অতিরিক্ত সচিব আজহারুল হক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম, চলচ্চিত্র গবেষক রফিকুজ্জামান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, দৈনিক ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শ্যামল সরকার প্রমুখ সভায় তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন।
প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাকির হোসেন, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী আব্দুস সামাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানাসহ বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা সভায় অংশ নেন।