বঙ্গবন্ধু হত্যার কলঙ্ক মুছে ফেলা যাবে না

17

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, সুদীর্ঘকাল ধরে পরাধীন বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু এক করেছেন। ভৌগলিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অর্থনৈতিক মুক্তিদানের পদক্ষেপ গ্রহণের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। একটা দেশের সোনালী সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার জন্য এই হত্যাকাÐকে জাতি মেনে নিতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ, দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হবার দেশ, খাদ্য ঘাটতির দেশ, মঙ্গার দেশ, সন্ত্রাসের দেশ ও জঙ্গির দেশের বদনাম ঘুচিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের বাংলাদেশকে আরো অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এটাই শোক দিবসের প্রত্যয়। তিনি গতকাল ৬ আগস্ট বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে শোকের মাস আগস্টজুড়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছি এই নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে চট্টলার বীর সন্তান মৌলভী সৈয়দ জীবন দিয়েছেন। এসব হত্যাকান্ড ঘটিয়ে শুধু আওয়ামী লীগের নয়, দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যেমন যাবে না, তেমন এই কলঙ্ক মুছে ফেলা যাবে না। এই আত্মস্বীকৃত খুনীরা ইতিহাসের কাছে ক্ষমা পায়নি জাতির কাছে ধীকৃত হয়ে থাকবে।
সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হওয়ায় বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত বর্বর পাকিস্তানিদের মিত্র হিসাবে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার যে পথ সৃষ্টি হয়েছিল, সেখান থেকে দেশকে সরিয়ে বিপরীতমুখী করার উদ্দেশ্যে এই বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির পিতা, যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছেন। সারাটি জীবন নিজের কথা, পরিবারের চিন্তা বাদ দিয়ে জনগণের মঙ্গল-কল্যাণে কাজ করেছেন। ত্যাগী জীবনের কারণে দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভক্তি-শ্রদ্ধা আর ভালবাসার চোখে দেখেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশবাসীর জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, আমরা তার গর্বিত অনুসারী।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, একটি ঘুমন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক পথনির্দেশ দিয়ে স্বাধীন ভূখন্ড সৃষ্টি করে বিশ্বে আমাদের আত্মপরিচয় দানের সুযোগ দান করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবু সাঈদ চৌধরী, হাবিবুর রহমান, এস এম আবুল কালাম, আইন সম্পাদক এড. মির্জা কছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. জহির উদ্দিন, প্রদীপ দাশ, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, শ্রম সম্পাদক খোরশেদ আলম, শিক্ষা সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, দপ্তর সম্পাদক আবু জাফর, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. নাসির, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, কৃষি সম্পাদক এড. আবদুর রশিদ, ক্রীড়া সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিজয় কুমার বড়ুয়া, সদস্য আবু সুফিয়ান, দেবব্রত দাশ, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, চেয়ারম্যান নাছির আহমদ, ছিদ্দিক আহমদ বিকম, মাহবুবুর রহমান সিবলী, এ কে আজাদ, সেলিম নবী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, পটিয়া উপজেলা সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, বোয়ালখালী সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, আনোয়ারা উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, লোহাগাড়া উপজেলা সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি নুরুল হাকিম, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থ সারথী চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা তাঁতীলীগ সভাপতি দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, মৎস্যজীবী লীগ সুরেশ দাশ, দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগ যুগ্ম আহবায়ক এড. কামেলা খানম রূপা, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী দীপিকা বড়ুয়া, জান্নাত আরা মঞ্জু, খালেদা আক্তার চৌধুরী, কৃষ্ণারানী দাশ, তাহমিনা আক্তার ফৌজিয়া, শামীম বেগম, জাহানারা সিদ্দীকি, হেলেন রশীদ, সায়মা নওশীন লুসা, জগধা চৌধুরী সুপ্রিয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি