বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা : একটি বিশ্লেষণ

22

এ বি এম ফয়েজ উল্যাহ


১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী ইন্তেকাল করলে শেখ মুজিব পাকিস্তান আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ১৯৬৪ সালে ‘সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ) গঠন করা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘কপ’র প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ফাতেমা জিন্নার পক্ষে পূর্ব পাকিস্তানে প্রধান নির্বাচন পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালে পূর্ব পাকিস্তান চির অরক্ষিত। সর্বোপরি পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত, অর্থ হারা, স্বাধীকার হারা। তাই ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাঙালির মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ছয় দফা পেশ করেন। ছয় দফার মূলে ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্ত শাসন, ভাষা ভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা,ধর্মনিরপেক্ষতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির শপথ। শুরু হলো ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত নির্বিশেষে পাকিস্তান বিরোধী দুর্বার গণআন্দোলন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তাঁকে কারারুদ্ধ করা হলো। ১৯৬৯ এ শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ৬ দফা ১১ দফার ভিত্তিতে দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি হলো। তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাক সরকার। রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়। ১৯৭০ এ সাধারণ নির্বাচন। ৬দফা তথা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তানে সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন পেয়ে জয়লাভ করে। কিন্তু ইয়াহিয়া-ভুট্টু-সেনাচক্রের বেঈমানীতে সরকার গঠন করা গেলোনা। ১৯৭১’র ১ মার্চ থেকে শুরু অসহযোগ আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলি হেলনে চলেছে পুরো বাংলাদেশ। বস্তুতঃ ১ মার্চ থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন। রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতান ঘোষণা দিলেন।
উল্লেখ্য, দ্বি-জাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে ভারত বিভাজনের জন্য অবাঙালি ভি ডি সাভারকার, এম এস গোলওয়াকার, প্যাটেল, আচার্য কৃপালিনী, লালা লাজগত রায় (আর্য সমাজ, গৌ রক্ষা সমিতি), লোকমান্য তিলক (গনেশ পূজা, শিবাজি উৎসব) গান্ধি, মতিলাল নেহেরু (কেবিনেট মিশনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভারত বিভাজনের জেদ), জিন্নাহ, লিয়াকত আলী খান, সর্দার আবদুর রব নিস্তার, মাওলানা আজাদসহ তৎকালীন সর্ব ভারতীয় সাম্প্রদায়িক নেতৃবৃন্দই দায়ী। এঁরা সবাই যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কাছে পরাজিত হয়েছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ একটি অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্থপতি পুরুষ।
২. এ’প্রবন্ধে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার তাত্তি¡ক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।কিন্তু সেদিনের ভাষণে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিনা,তা নিয়ে নানা প্রশ্ন নানা মত রয়েছে।কারো মতে তিনি সেদিনই স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। কারোমতে সে ভাষণে স্বাধীনতার দিকনির্দেশনা ছিলো মাত্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর এক ভাষণে সেদিনের ভাষণকে দিক নির্দেশনা বলেছেন। তাঁর মতে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বঙ্গবন্ধুর উপর বিপ্লবী ছাত্রনেতাদের প্রবল চাপ ছিলো। আবার আওয়ামীলীগ তা চাইছিলোনা। কারণ, অখÐ পাকিস্তানের শাসনভার ন্যায্যত তাঁদেরই পাওনা। সেজন্য তাঁরা পাকিস্তানি শাসক ও ভুট্টো সাহেবের সাথে আলোচনার পক্ষপাতী। অন্যদিকে পাকিস্তনি স্বৈরশাসকদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে হুশিয়ার করা হয়েছিলো, তিনি যেন পাকিস্তানের অখÐতার বিপক্ষে কোন পদক্ষপ না নেন। সুতরাং তিন দিককার চাপে থাকা বঙ্গবন্ধুর জন্য ৭ মার্চেও ভাষণ ছিলো অতিব জটিল। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা বঙ্গবন্ধুকে শান্ত থাকতে এবং নিজের মত স্বাধীনভাবে বক্তব্য দিতে পরামর্শ দিলেন। বঙ্গবন্ধু আপনার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায়, তেজোদৃপ্ত ভাষায় লাখ লাখ জনতার সামনে সে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। যেটা কারো কাছে স্বাধীনতা ঘোষণা। কারো কাছে দিকনির্দেশনা মাত্র।
বইপত্রে লেখা হচ্ছে, ‘জনাব তাজউদ্দীন সাহেব টেপ রেকর্ডার নিয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করতে অনুরোধ করলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। কারো মতে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চট্টগ্রাম বেতার থেকে হান্নান সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। কারো মতে মেজর জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক। এককথায় স্বাধীনতার ঘোষণা, ঘোষক এবং তারিখ নিয়ে বিতর্ক চলমান। ঐতিহাসিকভাবে এর সমাধান এখনো হয়নি। তবে আমরা সমগ্র ভাষণের সু² বিশ্লেষণ করে স্বাধীনতা ঘোষণার দিনতারিখ নির্দিষ্ট করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঘোষণা পাকিস্তানি জান্তা সরকারকে দোদুল্যমান অবস্থায় ফেলেছিল। তারা না পারছিল আক্রমণ করতে, না পারছিলো সমাধানে আসতে।কালক্ষেপণ হচ্ছিলো শুধু।
সামরিক বেসামরিক বহু গবেষকের মতে এই সময়টাতে জান্তা সরকার প্রচুর সৈন্য এবং যুদ্ধসরঞ্জাম পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আনতে সক্ষম হয়েছিল, যা মুক্তিযুদ্ধের জন্য ক্ষতিকারক বিবেচিত হয়েছে। এটির সত্যতা নিয়ে যাঁরা কথা বলেন, তাঁরা বঙ্গবন্ধুর ‘ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও’কে গুরুত্ব দেননি। অথচ এটি সুফল বয়ে এনেছিল। ৭ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময়ে বীর বাঙালিরা (ছাত্র, জনতা, কৃষক, শ্রমিক) সংগঠিত হওয়ার সময় পেয়েছে। স্থানে স্থানে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা হয়েছে। বাঙালি সেনাবাহিনী (ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট), নৌ বাহিনী, বিমানবাহিনী, ই পি আর জোয়ানেরা নিজেদের মধ্যে ঐক্যস্থাপন করে প্রস্তুত হওয়ার সময় পেয়েছে। যার প্রমাণ, ২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র¿ প্রতিরোধ।
পাকিস্তানিদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের তাত্তি¡ক গুরুত্ব উপলব্ধি করতে না পারা। যে আক্রমণ তারা ২৫ মার্চে পরিচালনা করেছে, তা ৭ মার্চ রাতে করলে যুদ্ধের ফলাফল তাদের অনুকুলে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যেতোনা। কারণ, তখন বাঙালিদের কোন সেক্টরই সংঘটিত ছিলোনা। সেটা হতো অতর্কিত আক্রমণ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক কুতর্ক কিছুই চলেনা। কারণ ৭ মার্চেই প্রায় ১০ লক্ষ জনতার সামনে স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণার পর আর কোন নেতা, কোন সেনানায়ক কখন কি বললেন, তার কোন রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। তিনি ১ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের শাসনভার নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন। তখন থেকে পূর্ব বাংলা কার্যতঃ স্বাধীন। সর্বোপরি ৩ মার্চ মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে এসে জানতে চাইলেন, ‘পাকিস্তানকে বাঁচানো যায় কিনা’? এব্যাপারে সেখানে উপস্থিত তাজ উদ্দিনের কাছে বঙ্গবন্ধু জানতে চাইলে তিনি জবাবে বলেন, ‘… জাতীয় পরিষদ দুইভাগে ভাগ হয়ে যাক-একটি পূর্ব, আর একটি পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য। প্রতিটি পরিষদ তার নিজ অংশের জন্য একটি সংবিধান লিখতে পারে’। রাও ফরমান আলীর মনে হলো, এটি একটি কনফেডারেশনের ফর্মুলা, ফেডারেশনের নয়। (সূত্র : হাউ পাকিস্তান গট ডিভাইডেড-রাও ফরমান আলী)। তা ছাড়া ৪ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক সামরিক আইন প্রশাসক সাহেবজাদা ইয়াকুব খান ঢাকার রাস্তা থেকে সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরিয়ে নেন। কার্যত ঐদিনই তিনি ‘বাংলাদেশে ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব’ ছেড়ে দেন। (প্রাগুপ্ত- সৌজন্যে, মহি উদ্দিন আহমদ)
তবুও বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির ধারা রক্ষা করে দুটি পথ উন্মুক্ত রেখে দুটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। (এক) পাকিস্তানের অখÐতা। শর্ত- ‘(ক) সামরিক আইন মার্শাল ল উইথড্র করতে হবে। (খ) সামরিক বাহিনীর লোকদের ব্যারাকের ভেতর ঢুকতে হবে। (গ) যেসব ভাইদের হত্যা করা হয়েছে ,তাদের তদন্ত করতে হবে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। (ঘ) জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
(দুই) বাংলাদেশের স্বাধীনতা। নির্দেশ- ‘এরপর যদি একটি গুলি চলে, এরপর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়- তোমাদের কাছে অনুরোধ রইল প্রত্যেকের ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তা দিয়ে শত্রæর মোকাবেলা করতে হবে। … প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন। … যখন রক্ত দিয়েছি আরো দেব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে তুলবো ইনশাল্লাহ।
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা’।
এর অর্থ, প্রথম ঘোষণা কার্যকর হলে দ্বিতীয় ঘোষণাটি অটোমেটিক অকার্যকর হয়ে যাবে। আর প্রথম ঘোষণা যেদিন অকার্যকর হবে, সেদিনই দ্বিতীয় ঘোষণা অটোমেটিক কার্যকর হয়ে যাবে। নতুন কোন ঘোষণার প্রয়োজন পড়বেনা। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চের মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশে ‘অপারেশান চার্চলাইট’ নামে নির্মম ভাবে বাঙলি হত্যার সাথে সাথে পাকিস্তানের অখÐতা রক্ষার শর্ত অটোমেটিক্যালি বিলুপ্ত হয়ে যায।এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা সে ২৬ তারিখেই কার্যকর হয়েছে। তাই ২৬ তারিখেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এর পূর্বে কোনদিন আক্রমণ করলে সেদিনই স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গণ্য হত।সুতরাং নতুন করে স্বাধীনতা ঘোষণার প্রয়োজন পড়েনা। তবুও মুজিব নগরে ‘বিশ্বজনমতকে অবহিত এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সরকার পরিচালনার নিমিত্তে স্বাধীনতার যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়, তাতে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা কার্যকর হয়েছিল, তার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল (১৯৭১)মুজিবনগরে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
THE PROCLAMATION OF INDEPENDENCEÕ
Mujibnagar,Bangladesh.
Dated 10th day of April, 1971.
Whereas free election were held .. .. ÔWhereas in the fact of circumstences of the such treacherous conduct Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahaman, the undisputed leader of the 75 million people of Bangladesh, in due fulfillment of the legitimate right of the people of Bangladesh, duly made a declaration of independence at dacca on March 26, 1971 and urged the people of Bangladesh to defend the honour and integrity of Bangladesh.Õ

এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তোলা দেশদ্রোহিতার সামিল। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এই ঘোষণা, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এ নির্যাতিত, নিগৃহিত, শোষিত, অর্থনৈতিক-সুবিদা বঞ্চিত বাঙালিজাতিকে স্বাধীকার, স্বাধীনতা আন্দোলনে উজ্জীবিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সহকর্মি তাজ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতা সংগ্রামের জয়যাত্রা। তাঁর নামে গঠিত মুজিব নগরে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা হয়। সরকার গঠন করা হয়। প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধীনায়ক। মুক্তিযোদ্ধাদের অন্তর জুড়ে শেখ মুজিব। শ্লোগান ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’। ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে এলো কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।বাঙালির ‘জাতি রাষ্ট্র’।বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ মানচিত্রে সাকার করেছে।
লেখক : কবি, প্রাবন্ধিক এবং গবেষক