প্রথমদিনেই উধাও অর্ধেক বাস

50

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির (আরটিসি) বাস জরিপে অর্ধেক বাস উপস্থিত থাকলেও বাকি অর্ধেক বাস উধাও। গতকাল বুধবার নগরের জমিয়তুল ফালাহ মাঠে চলাচলরত বাস-মিনিবাসের জরিপ শুরু করে কমিটি। প্রথমদিনে ১, ২ ও ৮ নম্বর রুটে চলাচলরত গতকালকের নির্ধারিত ১২০টি বৈধ গাড়ির মধ্যে ৬০টি গাড়ির জরিপ সম্পন্ন হলেও বাকি অর্ধেক বাস মাঠে আসেনি।
তথ্যমতে, গতকাল শুরু হওয়া এ জরিপ চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। ১০ তারিখ থেকে এক নম্বর রুটে চলাচলরত বাস-মিনিবাস জমিয়তুল ফালাহ মাঠে কমিটির সদস্যদের দেখাতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিটি রুটের বাস-মিনিবাসের চালক/মালিককে মাঠে উপস্থিত থাকতে হবে। নগরে ১৭টি রুটে চলাচল উপযোগী (সিলিং) রয়েছে একহাজার ৫৭৫টি বাস-মিনিবাস। কিন্তু এসব রুটে বর্তমানে একহাজার ১২৫টি বাস-মিনিবাস চলাচল করছে। সিলিং (গাড়ি চলাচলের উপযোগী) খালি রয়েছে ৪৫০টি।
বাস-মিনিবাস কমিটির আহŸায়ক ও সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নগরে কি পরিমাণ বাস-মিনিবাস রয়েছে আর কি পরিমাণ চলাচল করছে তা কিছুদিন পর পর জরিপ করা দরকার। তারই অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) থেকে বাস-মিনিবাসসমূহ জরিপ করা শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ জরিপের মাধ্যমে এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করছে কি না, সিলিং অনুযায়ী ওই রুটে সব গাড়ি চলে কি না, রুটে গাড়ি কয়টি আছে আর কয়টি নেই, রুটে নতুন কোন গাড়ি অন্তর্ভ‚ক্তির প্রয়োজন আছে কি না, বাস-মিনিবাসগুলোর ইকোনমিক লাইফ (বয়সসীমা) পার হওয়ার পরও চলাচল করছে কি না, চললেও কি পরিমাণ চলছে ইত্যাদি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাস-মিনিবাস মালিককে রুটভিত্তিক কার্যক্রমের নির্দিষ্ট তারিখে গাড়ি ও গাড়ির যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাজির থাকতে হবে। জরিপে বাসের চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে কি না তা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। জরিপ চলাকালীন অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া জরিপকৃত কাগজপত্রের কোন প্রকার ছবি তোলা যাবে না।’
গত ২৩ মে’র আরটিসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাস-মিনিবাস জরিপ কমিটি ঘোষণা করে নগর আরটিসি’র সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার। কমিটিতে আহব্বায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীনকে। এছাড়া সদস্য রয়েছেন- ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ, ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রইছ উদ্দিন, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মমতাজ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থী, সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) প্রশাসন জহুরুল ইসলাম সরকার, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মলিক গ্রæপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ।