প্রতিষ্ঠার এক বছরেই সাড়া নিত্যনতুন কালেকশনে অনন্য

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেনাকাটার মজাই অন্যরকম। আর কেনাকাটার সঙ্গে যদি থাকে আকর্ষণীয় কোনো পুরস্কার তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নগরীর সর্ববৃহৎ সুপার মল বালি আর্কেডের ঈদ বাণিজ্য বেশ জমে উঠেছে। এই মল থেকে ক্রেতারা যেকোনও পণ্য কিনলেই পাচ্ছেন নানা রকম আকর্ষণীয় পুরস্কার। এতে ক্রেতাদের কেনাকাটার আনন্দ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।
এদিকে বিশ্বমানের এই মলে ইতিমধ্যে ঈদ বিক্রয় উৎসব শুরু হয়েছে। উৎসবমুখর মানুষজন প্রিয় পোশাকটি কেনার জন্য এখানে ভিড় করছে। আর এখান থেকে যেকোনও পণ্য কিনলেই কুপন জমা দেওয়ার পর ক্রেতারা পাচ্ছেন এলইডি টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, প্রেসার কুকারসহ হরেক রকম আকর্ষণীয় পুরস্কার।
স্বদেশপল্লীর ম্যানেজার রাকিবুল হাসান বলেন, বেচা-বিক্রি জমে উঠেছে। আমাদের এখানে লেডিস, জেন্টস ও শিশুদের সবধরনের নিত্যনতুন কালেকশন রয়েছে। বিশেষ করে পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিসের নিত্যনতুন কালেকশন অন্যদের তুলনায় ভিন্ন। কারণ আমাদের নিজস্ব কারখানায় ক্রেতাদের চাহিদার নিরিখে আপডেট ডিজাইনে তৈরি করা হয় পণ্য। ছেলেদের পাঞ্জাবি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে শুরু সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০ টাকা পর্যন্ত। থ্রি-পিস ১ হাজার ৮৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত কালেকশন রয়েছে।
একইভাবে স্পার্ক পার্কের ইনচার্জ শামীম হোসাইন জানান, গত ২ বছর একদম ব্যবসা হয়নি। আর এবছর যেহেতু পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো তাই আমরা ঈদ উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য নিয়ে এসেছি নিত্যনতুন সব কালেকশন। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী এখনো বিক্রি শুরু হয়নি। হয়ত ১৫ রমজানের পর থেকে জমে উঠবে।
এছাড়া এই সুপার মলে এমন কিছু শো-রুম আছে, যা চট্টগ্রামে আর কোথাও নেই। এমন একটি শো-রুম হলো ‘ল্যান্ড’। এটি এই প্রথম চকবাজারের বালি আর্কেডে চালু করা হয়েছে। ল্যান্ড শো-রুমের ম্যানেজার সৈকত মজুমদার জানান, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে কেবলমাত্র অনলাইনে পোশাক বিক্রি করেছি। একইভাবে ২০২১ সালে মাত্র ১৭ দিন ব্যবসা করেছি। তবে এবার ঈদ বিক্রয় উৎসব ভালো হবে এমন আশায় সব ডিপার্টমেন্টে নিত্যনতুন কালেকশন এনেছি। এতে তরুণদের জন্য অগ্রাধিকার বেশি।
তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের শো-রুমে কিছু সিলেক্টিভ পোশাকে ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। এক পিস পাঞ্জাবি কিনলে ২০ শতাংশ, দুই পিস পাঞ্জাবি কিনলে ৩০ শতাংশ এবং তিন পিস পাঞ্জাবি কিনলে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এক পিস শার্ট কিনলেই ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন ক্রেতারা।

যে কারণে অনন্য ‘বালি আর্কেড’
২০২১ সালে ২ এপ্রিল জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নগরীর প্রাণকেন্দ্র চকবাজারে নির্মিত বিশ্বমানের শপিং মল ‘বালি আর্কেড’ চালু হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম তথা সারাদেশের প্রথম সর্ববৃহৎ সুপার মল। নান্দনিক শৈল্পিকতায় নির্মিত এই মলে রয়েছে বিশ্বমানের সকল সুযোগ-সুবিধা। বিজনেস, বিনোদন, শপিং এবং ফ্যামিলি এন্টারটেইনমেন্টের পরিপূর্ণ আয়োজন থাকছে এখানে।
২টি বেইচম্যান্ট কার পার্কিং সম্বলিত মোট ১৪ তলা বিশিষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ বাণিজ্যিক এই কমপ্লেক্সের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ‘ক্যাসাবøাংক’।
এই মলের তৃতীয় তলায় থাকছে স্বতন্ত্র লেডিস জোন। যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সিকিউরিটিসহ সকলেই নারী। রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ সম্বলিত মোবাইল ফোন ও মোবাইল এক্সেসরিজের জন্য বিশেষ জোন।
ফ্রি ওয়াইফাই এর আওতাভুক্ত এই মলে ৩টি সিনেপ্লেক্স, ২টি বিশ্বামনের ফুড কোর্ট, কনভেনশন হলসহ সর্বমোট ২৫০টি শপ, শো-রুম এবং ডিসপ্লে সেন্টার রয়েছে।
সুপার মল বালি আর্কেডে আরো রয়েছে আন্তর্জাতিক পৃথক পৃথক কুইজিন বেইস ফুডকোট। বিভিন্ন ব্র্যান্ডশপ সম্বলিত কসমেটিক জোন, জেন্টস ব্র্যান্ডশপ, লাইফস্টাইল, পার্লারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের শো-রুম চালু করছে।
এছাড়া বিশাল এই শপিং মলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চকবাজার তেলিপট্টি মোড় থেকে দক্ষিণে টাক শাহ মিয়ার মাজার ও পশ্চিমে কেয়ারিসহ সমস্ত এলাকা সিসি ক্যামরায় আওতায় আনা হয়েছে। একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পুরো মলটি রান করা যাবে। তা দিয়ে জানা যাবে কোন ফ্লোরে কি আছে। মার্কেটটির পার্কিং কতটুকু খালি আছে তাও জানা যাবে।
শেঠ প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, ২০২১ সালের ২ এপ্রিল চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি বিশ্বমানের শপিং মল চালু করেছি। অন্য মার্কেটের তুলনায় বালি আর্কেডের ভিন্নতা দেখতে চাইলে মার্কেটে ঢুকলেই বুঝা যাবে। খেলাধুলা, খাওয়া-দাওয়া, শপিং ও মুভিং থেকে শুরু করে কি নেই এই মার্কেটে। একজন ক্রেতা চাইলে সারাদিনের জন্য এই মার্কেটে আসতে পারবে। ঈদ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে মার্কেটটি জমে উঠেছে। প্রতিদিন উৎসব প্রিয় মানুষজনের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানকার যেকোনও শো-রুম থেকে ক্রেতারা পণ্য কিনলেই পাচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
এছাড়া এই মলে অধিকাংশ শো-রুম ঢাকা থেকে এসেছে, যা চট্টগ্রামের বালি আর্কেডে এই প্রথম চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বমানের ফুড কোর্ট তো আছেই।