পুদিনা ধনেপাতা বেগুনে হাত দেয়া যায় না আগুনে

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোজায় চাহিদা বেশি থাকায় অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যায় বেগুন, শশা, পুদিনা পাতা, লেবু ও কাঁচা মরিচের। এসব পণ্য ইফতার সামগ্রীতে বেশি ব্যবহৃত হয় বলে ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করে। একই সময়ে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে যায় পাল্লা দিয়ে। রোজার প্রথম দিনে বিপুল সরবরাহে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ছেয়ে গেছে পুদিনা পাতায়, বেড়েছে বিক্রিও। আর ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অন্যান্য সময় ৫/১০ টাকার খুচরায় পুদিনা পাতা বিক্রি হলেও ‘চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়’ রোজায় বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। শশা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে রোজার আগে বেড়ে যাওয়া দামেই।
গতকাল রবিবার নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পুদিনা পাতা উঠেছে প্রচুর। অন্যান্য পণ্যের মজুদও আছে বেশ। বিক্রেতা আবুল হাশেম জানান, বছরের অন্য সময়ে তিনি পুদিনা পাতা রাখেন না, তবে রোজায় চাহিদা বেশি থাকে বলে বিক্রি করছেন। এখানকার আড়তে ৪০-৫০ টাকায় এবং খুচরা বিক্রেতারা ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে পুদিনা পাতা বিক্রি হতে দেখা গেল। কিন্তু খুচরা বিক্রিতে পুদিনা পাতা ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রিয়াজউদ্দিন বাজার ছাড়াও, কাজীর দেউড়ি মার্কেটে দেখা গেল, গরমের বিভিন্ন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেগুন ও শসার দাম বেশি। বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রোজা শুরুর কয়েক দিন আগে থেকেই অবশ্য এই দামে বেগুন কিনেছেন চট্টগ্রামের ক্রেতারা। আগের সপ্তাহে ছিল ২৫ টাকা কেজি। শসাও কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের দাম ৪০-৫০ টাকায় থাকলেও ধনে পাতার কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকায় উঠেছে। তবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যেই এক কেজি টমেটো মিলছে।
বাজারে আলুর দাম বাড়েনি, গত কয়েক দিনের মত ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে একসঙ্গে সাত কেজি কিনলে পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকায়। এক কেজি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় পাচ্ছেন ক্রেতারা। চিনি, ছোলা, সয়াবিন তেলে দামও স্থিতিশীল রয়েছে চট্টগ্রামের বাজারে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৮ টাকা কেজিতে। ছোলা মান ভেদে ৬৮-৭৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ডালের মধ্যে বড় দানার মসুর ৯৫ টাকা, ছোট মসুর ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য ডালের দামেও তেমন কোনো হেরফের হয়নি। সয়াবিন তেলের এক লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, আর পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৭৮০ টাকা রাখছেন দোকানিরা। গরুর মাংস প্রতি কেজি হাড়সহ ৭৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা কেজি রাখছেন বিক্রেতারা। ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সবকিছুতে বাড়তি দামের প্রবণতা নিয়ে প্রথম রোজা অতিবাহিত হয়েছে। বাজারের এ অবস্থায় নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের হিমশিম অবস্থা।