পাঠকের কথা

8

ছোটবেলায় ঈদ আসতো
রুমানা নাওয়ার

ছোটবেলায় ঈদ আসতো আম্মার রঙিন শাড়ীতে, হাতে রঙ বেরঙ এর চুড়িতে।ছোটবেলায় ঈদ আসতো সব ভাইবোনের আব্বার সাথে বসে একসাথে খাওয়ায়।ছোটবেলায় ঈদ আসতো বড় চাচীর কড়কড়ে নতুন দুটাকার সেলামি তে। ছোটবেলার ঈদ আসতো পিছনের পুকুরের কোণাকোণি জায়গায় দাঁড়িয়ে দূরের আকাশটায় কাস্তের মতো ছোট্ট আবছায়া এক বাঁকা চাঁদে। অথবা ছাদের প্রান্ত সীমানায় মাথা উঁচু করে চাঁদ দেখার নিরলস প্রচেষ্টায়। ছোটবেলায় ঈদ আসতো বিটিভিতে সমস্বরে রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদের মধ্যে।
ছোটবেলায় ঈদ আসতো আব্বার সাথে ঈদগাহে ছোটায়। ছোটবেলায় ঈদ আসতো রহিমা আপাদের পাতলা টলটলে রান্নার বাংলা সেমাইয়ে। টিনের বাসনে করে পরিবেশন করতো ছোট মা।আমরা মুখ দিয়ে পুরুত করে টেনে একবারেই খেয়ে ফেলতাম।
চামচটামচ তো নচ্ছার। ছোটবেলায় ঈদ আসতে ফকির আহমদ কাকুর ডেবা থেকে তোলা হরেক মাছের গরম গরম ভাতে। আহা কি সুস্বাদ। এখনও মুখে লেগে আছে যেন। ছোটবেলায় ঈদ আসতো মুন্সি কাকুদের লাল লাচ্চা সেমাই র লোভে।দক্ষিণ বাড়ীর ঐ একটা ঘরেই আমরা যেতাম শুধু। ছোটবেলায় ঈদ আসতো বিশাল বিল পেরিয়ে চেয়ারম্যান চাচার বাড়ীতে যাওয়ায়। ছোটবেলায় ঈদ আসতো দলবেঁধে এ এঘরওঘর এবাড়ীওবাড়ী করার। খাওয়াটা মুখ্য ছিলোনা।
ঐদিন অপার স্বাধীনতা পাওয়ার আনন্দে দিগ্বিদিক ছুটতাম নির্ভাবনায়। এমনও গেছে দুমাইল দূরের পথ হেঁটেই পৌঁছে যেতাম বোনের শ্বশুর বাড়ী।উপরে আকাশ নিচে খোলা মাঠ বিল গাছপালা পাখিদের কিচিরমিচির পাশে বয়ে চলা হালদা নদী আর আমরা আটদশজনের দুষ্টু ছেলেমেয়ের দল। আহা শৈশব আহা কৈশোর আহা আমাদের সেসব সোনাঝরা ঈদ। কই হারালো। কোথায় হারিয়ে ফেললাম তারে।

প্রবাসীদের ঈদ
লায়ন মো. আবু ছালেহ্

প্রথম প্রবাসে ঈদ পালন করেছিলাম ২০০৩ সালে সৌদি আরবে সেদিন নামাজ পড়ার পর যখন রুমে গেলাম তখন বুকের ভেতর হুংকার দিয়ে কান্না এসেছিল। তখন ছিলাম যুবক। এরপর সেটা নিয়মিত ছিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত। ঠিক তার ১০ বছর পর প্রবাসে ঈদ পালন করলাম আরব আমিরাতের দুবাইতে। ভিন্ন রকম এই ঈদ কাটালাম চাইনিজ, আফ্রিকান, এশিয়ান মানুষের সাথে। চোখে দেখা সে ঈদের অনুভূতি ছিল এরকম। কেউ ঈদের নামাজ পড়ে কাজে যোগ দিয়েছে। কেউ একদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করেছে বন্ধুদের সাথে। কেউবা আবার পরিবারের সাথে। তবে পরিবার নিয়ে প্রবাসে ঈদ পালনের সৌভাগ্য সবার হয়না। সবচেয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে এশিয়ার লোকেরা। তারা অন্তত ঘুরাঘুরি করে একে অপরের সাথে ঈদের দিনটাকে নিজেদের খুশিতে রাখার চেষ্টা করে। তবুও মনের কোণে থেকে যায় চাপা দুঃখ। প্রবাসীদের ঈদ মানে মনে শত কষ্ট নিয়েও ‘হ্যাঁ, আমি ভালো আছি’ বলা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সত্যিই অন্য রকম আনন্দের। কিন্তু সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন প্রবাসীরা। দেশে ঈদ উদযাপন করা আর প্রবাসে উদযাপনের তফাত অনেক। কিন্তু পরিবারের হাল ধরতে এমন পরিস্থিতিকে মেনে নেন প্রবাসীর। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ- এ কথা সবাই মানলেও প্রবাসীদের জীবনে এর বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায় না। সচ্ছল হওয়ার তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান তারা। এ কারণে জীবনের অনেক স্বাদ-আহ্লাদ ত্যাগ করেন তারা। দেশের মতো প্রবাসে ঈদের কোনও আমেজ নেই বললেই চলে। রমজান আসে ঈদ আসে কিন্তু ঈদকে ঈদের মতোই মনে হয় না প্রবাসীদের কাছে। প্রবাসে ঈদের নামাজ পড়ে এসে রুমে বসে বাড়িতে পরিবার-প্রিয়জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে এবং ঘুমিয়ে সময় কাটান প্রবাসীরা। যারা কাজের উদ্দেশ্যে প্রবাসে আসেন, তাদের জন্য ঈদের দিনটা অত্যন্ত কষ্টের। এই দিনকে অন্যান্য দিনের সঙ্গে পার্থক্য করা কঠিন তাদের কাছে। কারণ অনেক প্রবাসীর ঈদের দিনেও কাজ করতে হয়। এমন একটি আনন্দের দিনে যখন কাজের মধ্যে কাটাতে হয় সেটা যে কত বেদনার তা প্রকাশ করা কঠিন। ফরেন কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রায় ২০ জন যুবককে দেখলাম নামাজ পড়ে সরাসরি কাজে যোগ দিয়েছে। বললাম ছুটি নিলেনা কেন? জবাবে বলল যদি ছুটি নেয় তাহলে একদিনের বেতন কেটে ফেলবে। এখানে আর কি ঈদ পালন করব। তার চাইতে বেতনটা বাচাই। শুনে খুব খারাপ লাগলেও এটাই প্রবাস। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসীরা টাকার মেশিন তাদের সুখ স্বপ্ন থাকতে নেই। তারা শুধু দেবার জন্য এসেছে। জীবনের সবকিছু ত্যাগের বিনিময়ে।
লেখক: কবি ও প্রাবন্ধিক (আরব আমিরাত হতে)

ঈদ আনন্দ
আলতাফ হোসেন হৃদয় খান

এবাদত বন্দেগীর মধ্যে মাহে রমজান অতিবাহিত করে পবিত্র ঈদুল ফিতর আমাদের মাঝে খুশির বার্তা নিয়ে আসে। একে অপরের প্রতি সকল ভেদাভেদ ভুলে, নানা ঈদ উপহার, ঈদের নামায আদায়, ঈদ সেলামি, মিষ্টান্নভোজন ও কোলাকুলি করে আমরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করি। কিন্তু সমাজের কিছু সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ মানুষরা যাতে এই ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই দিকে লক্ষ্য করে আমাদের কেনাকাটা থেকে কিছু অর্থ সঞ্চিত করে, যাকাত-ফিতরা আদায় করে অথবা নতুন কাপড় দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ঈদের অনাবিল আনন্দ ভাগাভাগি করাই হোক আমাদের মানবতার অনন্য সোপান।
দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমাদের সমাজে এখনও অনেক অসহায় দুস্থ পরিবার আছে যারা ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়, অথচ তাদের আশেপাশে কিছু বিত্তবান অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর না নিয়ে দিব্যি ভোগ বিলাসে ব্যস্ত! যা মানবতা গর্হিত কাজ। এমন আচরণে পাশে থাকা অসহায় পরিবারটি মনে কষ্ট পায়। ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই সকল বিত্তবান ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের নিকট অনুরোধ আপনার আমার আসে পাশে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঈদ আনন্দ উদযাপন করলেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের ভাবগাম্ভীর্য আরো প্রগাঢ় হবে। দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের অনাবিল শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।
পাঁচলাইশ ৩নং ওয়ার্ড, চট্টগ্রাম।

ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা
এম. আবুল ফয়েজ মামুন

ঈদ মানে আনন্দের জোয়ার। ঈদ মানে খুশির সঞ্চার। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর রমজানের শেষ দিনে আকাশের এক কোণে বাঁকা চাঁদের মিষ্টি হাসি ঈদের জানান দিয়ে দেয় সবাইকে, সবাই একই সুরে গেয়ে ওঠে কাজী নজরুল ইসলামের সেই অমর সংগীত, ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।’ ঈদুল ফিতর প্রতিবছর এক অনন্য- বৈভব বিলাতে নিয়ে আসে খুশির বার্তা।
বছরে একবার এই উৎসব দিবসটি খুশি ও কল্যাণের সওগাত নিয়ে ফিরে আসে। এ জন্য এটাকে ঈদ বলা হয়। ঈদ শব্দের অর্থ আদত বা অভ্যাস। অর্থটি এ জন্য যে, মহান আল্লাহ প্রতি বছর ঈদের মাধ্যমে বান্দাকে তাঁর দয়া, এহসান ও করুণা বর্ষণ করে থাকেন। সিয়াম পালনের দ্বারা রোজাদার যে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার সৌকর্য দ্বারা অভিষিক্ত হন, ইসলামের যে আত্মশুদ্ধি, সংযম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, দানশীলতা, উদারতা, ক্ষমা, মহানুভবতা, সাম্যবাদিতা ও মনুষ্যত্বের গুণাবলি দ্বারা বিকশিত হন, এর গতিধারার প্রবাহ অক্ষুণ রাখার শপথ গ্রহণের দিন হিসেবে ঈদুল ফিতর আগমন হয়। আল্লাহর পক্ষ থেকে ঈদ হচ্ছে বান্দার জন্য বিরাট আতিথেয়তা। এ দিন যে আনন্দধারা প্রবাহিত হয়, অফুরন্ত পুণ্যময়তা দ্বারা পরিপূর্ণ। সুদীর্ঘ এক মাস রোজার পর মুসলমানের ঘরে নিয়ে আসে ঈদ আনন্দ। এদিন নতুন জামা-কাপড় পরিধান করা, ঈদগাহে নামাজ পড়া ও কোলাকুলি সৌহার্দ্য, স¤প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফিরনি-সেমাই খাওয়া প্রভৃতি ঈদের দিনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
ঈদ হলো আল্লাহর নিয়ামত ও জিয়াফত ভোগ করার চিরন্তন অভ্যাস বা আচার অনুষ্ঠান। এই জিয়াফত ভোগ করতে যেয়েই আমরা একটু বেপরোয়া হয়ে পড়ি। দীর্ঘ এক মাস রোজা আমাদের নিয়মমাফিক চলা ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে জীবনাচরণের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন সূচিত হয়। এই ইতিবাচক প্রভাবটি যেন নেতিবাচক না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষগুলো বাড়ি যাওয়ার জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে চড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সফর করেন, এতে অনাকাক্সিক্ষত বিপদ-আপদের শিকার হন। কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেয়া যায়, অন্য সময়ের চেয়ে ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ে। এজন্য সফরে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে, কোনোভাবেই অসতর্কভাবে চলাফেরা করা যাবে না।আমরা যখন ঈদের আনন্দে মেতে উঠব, ঠিক এর আগ মুহূর্তেই বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষের কান্নাকাতর ধ্বনি আমাদের ব্যথাতুর করবে। দেশে দেশে মজলুম মানুষের আহাজারি শোনা যাবে। তার পরও মুসলিম উম্মাহর ঘরে ঘরে ঈদ আসবে। তাই ঈদের আনন্দে সব মজলুম ও অসহায় মানুষের জন্য বস্তুগত কিছু করা সম্ভব না হলেও আমাদের দোয়ার হাত যে আরশের প্রভুর দরবারে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-পড়শিদের নিয়ে আনন্দ উপভোগ করার এই বিরল সুযোগ হয়তো অনেকেই হাতছাড়া করবেন না। আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, ঈদ উৎসব অন্য দশটি উৎসবের মতো নয়, এটি ইবাদতকেন্দ্রিক উৎসব। তাই উৎসবের নামে বাড়াবাড়ি পরিহার করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা সবার কর্তব্য।সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক ঈদ আনন্দ।সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।

তারপরও কেন এতো উগ্রতা, বাড়াবাড়ি!

রেহেনা আক্তার

ইসলামে আবেগের চেয়ে আনুগত্য আবশ্যক। (গুটি কতক বকধার্মিক) ধর্ম সম্পর্কে যাদের মাঝে জ্ঞানের ছিটেফোঁটা-টুকুও নেই বললেই চলে, তাদের মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়িতে সত্যিই আপসোস ও লজ্জায় আপাদমস্তক অবশ হয়ে আসছে! ইসলাম শান্তির ধর্ম। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, কটুক্তি ইসলাম সমর্থন করে না। এবং আমার জানামতে অন্য সব ধর্মেও ভিন্ন ধর্মকে কটুক্তি, অসম্মান করাকে মোটেও সমর্থন করে বলে মনে হয় না। তাই পূজা মন্ডপে মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরআন রেখে স্বার্থ হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে হিন্দু-মুসলমানের মাঝে বৈষম্য ও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি যে বা যারা করেছে তাদের বিচার অবশ্যই নিশ্চিত করা হোক দৃঢ়তার সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে। এভাবে আন্দাজে মৌচাকে ঢিল ছুড়ে নয়।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে- হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা সাধারণভাবে অন্যের ব্যাপারে আন্দাজ-অনুমান করা হতে বিরত থাকো। আন্দাজ- অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে গোনাহের কাজ। হে বিশ্বাসীগন! কোনো ফাসেক (দুরাচারী) তোমাদেরকে কোনো খবর বা তথ্য দিলে অবশ্যই তার সত্যাসত্য যাচাই করবে। তা না হলে (হুজুগে পড়ে) কোনো জনগোষ্ঠীর ক্ষতিসাধন করে ফেলতে পারো। তখন পরে তোমরাই অনুতপ্ত হবে। হে মানুষ! তোমাদেরকে আমি এক পুরুষ ও এক নারী হতে সৃষ্টি করেছি এবং বিভিন্ন সমাজ ও জাতিতে ভাগ করেছি। তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই আল্লাহ’র কাছে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন যে বেশি আল্লাহ-সচেতন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব জানেন এবং সব বিষয়ে সচেতন। (সূরা হুজুরাত। রুকু ২ আয়াত ১৮ -মাদানী)।
কোরআনে এত সুন্দর,স্পষ্ট উলে­খ থাকার পরও আমরা কেন এত বিচলিত! উত্তম ফয়সালাকারী কেবল একমাত্র স্বয়ং আল্লাহ। আমরা নই। আমরা যা করছি তা কি আদৌ কোনো মুমিন বান্দা কিংবা আল্লাহ ও রাসুল প্রেমির কাজ?
নাহ, বর্তমানে আমরা যে যার মতো, অবিদ্যাপ্রসূত মনগড়া হাদিস, চরম অহমিকা ও উগ্রতার বানে নিজেরাই নিজেদের দুর্দশায় নিপতিত করছি!! যেখানে স্বয়ং আল্লাহ পবিত্র কোরআনে নির্দেশ দিয়েছেন-
অতএব হে নবী! আপনি ওদের উপদেশ দিন।
আপনি বাণীবাহক মাত্র। ওদের বিশ্বাস ও কর্মের নিয়ন্ত্রক নন।
(সূরা গাশিয়াহ, রুকু ১, আয়াত ২৬ মাক্কী)।