পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন নয়

45

নগরের টাইগারপাসের সৌন্দর্য অুক্ষন্ন রেখে দেশের অন্যতম বৃহৎ এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বুধবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে অধ্যাপক ড. সিকান্দর খান বলেন, আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই। তবে পরিবেশ ধ্বংস করে কোনো উন্নয়ন আমরা চাই না। একটি নগরের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের পূর্বে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করতে হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তা না করে মনগড়া প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এর আগেও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি একজন পরিবেশবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীকে হয়তো বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়নি। তিনি যদি জানেন যে প্রাকৃতিক পাহাড়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরি করা হচ্ছে তবে তিনি ব্যথিত হবেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে পাহাড়, নদী ও সাগরের সংমিশ্রনে তৈরি। এই তিনটি উপাদানের একটিও যদি নষ্ট হয় তবে চট্টগ্রাম তার মৌলিকতা হারাবে। আর চট্টগ্রামবাসী হিসেবে আমরা তা হতে দিবো না। সিডিএ চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ থাকবে এখনো সময় আছে এ নিয়ে ভাবুন।
পরিবেশবিদ ইদ্রিস আলী বলেন, মানুষ হিসেবে আমরা বেঁচে থাকতে হলে পরিবেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হবে। বৈরীতা নিয়ে পরিবেশের সঙ্গে টিকে থাকা অসম্ভব। সিডিএ যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা আত্মঘাতী। পাহাড় ধ্বংসের মাধ্যমে যে উন্নয়ন, তা জনগণ চায় না।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল বলেন, টাইগারপাসকে বাদ দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে তৈরির সুযোগ রয়েছে। সুতরাং পাহাড় ধ্বংস বা তার সৌন্দর্য্য ধ্বংসের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। আশা করি অতি দ্রুত প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি তদারকি করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সেভ টাইগারপাস মুভমেন্টের আহবায়ক বিপ্লব পার্থের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আদিল কবির চৌধুরী ও বায়েজিদ সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া, সমাজতত্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহিম উদ্দিন মাহিম, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী প্রমুখ। খবর বিজ্ঞপ্তির