পটিয়া ও রাউজানে আগুনে পুড়ল ২৩ বসতঘর

13

পটিয়া ও রাউজান

পটিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়েছে ১৩ ঘর। ভয়াবহ এ অগ্নিকান্ডে নগদ অর্থ, আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। উপজেলার কচুয়াই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে হিমাংসু সর্দার, ভুগিত সর্দার, সুধির সর্দার, কালু সর্দার, টিংকু সর্দার, রতন সর্দার, মঙ্গল দাশ, সজল সর্দার, কাজল সর্দার, সুজন সর্দার, বন সর্দার, কেশব দাশ, বাবলা সর্দারের ঘর পুড়ে গেছে। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শনিবার রাত ৮টার দিকে সর্দার পাড়ার কালু সর্দারের ঘর থেকে প্রথমে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের ১৩টি ঘরের মালামাল পুড়ে যায়। লোকজন চেষ্টা করেও তাদের ঘরবাড়ির মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দীর্ঘ দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাউজান :
রাউজানে অগ্নিকান্ডে এক আইনজীবীর বসতঘরসহ ১০টি ঘর পুড়ে গেছে। গতকাল রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়িতে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দেড় কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
আগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন অ্যাডভোকেট সুধীর তালুকদার, চন্দন তালুকদার, নিউটন তালুকদার, কাজল তালুকদার, সুজন তালুকদার, তপন তালুকদার, ধীরেন্দ্র তালুকদার, বাবুল তালুকদার, এডিসন তালুকদার ও গণেশ তালুকদার।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্য মাহাফুজুল আলম রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে জানান। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় হিন্দু-মুসলিমরা মিলে আগুন নিভাতে চেষ্টা করে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তার আগেই ১০টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এগুলোর মধ্যে মাটি, বাঁশ ও ইটের কাঁচা ঘর ছিলো।
ধারণা করা হচ্ছে তপন তালুকদারের বৈদ্যুতিক পাখার শর্টসার্কিট হতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকান্ডে দেড় কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ কামরুজ্জামান সুমন বলেন, রবিাবর ভোর ৪ টার সময় সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আগুনের তীব্রতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে একটু বেগ পেলেও ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে আগুন পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
এর আগে ২০ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দাশপাড়ায় পূজার ধুপকাঠি হতে সৃষ্ট আগুনে দুটি বসতঘর পুড়ে যায়। এতে মিলন দাশের ছেলে বিশু দাশ ও হারাধন দাশের ছেলে রুবেল দাশ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
পাহাড়তলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রোকন উদ্দিন বলেন, ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তাৎক্ষণিকভাবে রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর পক্ষ হতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল, ২ ভ্যান টিন, প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও নগদ অর্থ প্রদান করি।