পটিয়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নারী ইউপি সদস্যের মামলা

4

পটিয়া প্রতিনিধি

পটিয়ায় শোভনদন্ডী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগে চেয়ারম্যান এহসানুল হকের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা নাছিমা আক্তার পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গতকাল বুধবার মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক তররাহুম আহমেদ শুনানি শেষে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরো দুই ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সায়েম ও সামশেদ হিরুসহ মোট ৬ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে, একই দিন ওই নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অন্ডকোষ চেপে হত্যার চেষ্টা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে গালিগালাজ এবং আঙ্গুলে কামড় দিয়ে আহত করার অভিযোগে আদালতে আরেকটি মামলা করা হয়। একই পরিষদের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সায়েম মামলাটি দায়ের করেন। আদালত শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
নারী ইউপি সদস্যের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান টিউবঅয়েল ও ভিজিএফ কার্ড বিতরণ নিয়ে অনিয়ম করে আসছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান তাকে গালিগালাজ এবং মারধর করেন। অন্য আসামিরা একজোট হয়ে তাকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করতে গেলে তার মামলা নেয়া হয় নি। পরে বুধবার আদালতে মামলা দায়ের করতে গেলে সেখানেও তাকে আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সায়েমের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয় ওই ইউপি সদস্যা নাছিমা আক্তার নানা অনিয়ম করে আসছিলেন এবং সরকারি টিউবঅয়েল দেয়ার নামে বিভিন্ন লোকজন থেকে টাকা নেন। ঘটনার দিন ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক চলাকালে তিনি উত্তেজনামূলক কথা বলেন। এর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাতের আঙ্গুলে কামড় দেন ও অÐকোষ চেপে হত্যার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এহসান বলেন, মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমুলক এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একদিন আগে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। সেখানে মামলার আবেদন খারিজ হওয়ায় বুধবার পটিয়া আদালতে মামলা করেছেন। ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন।
ইউপি সদস্য নাছিমা আক্তার বলেন, তার উপর হামলা ও পরে মামলা না নিতে আসামিরা থানায় প্রভাব বিস্তার করেন। আদালতে মামলা দায়েরের সময়ও বাধা দেয়া হয়। পরে তাকে চাপে ফেলতে মিথ্যা অভিযোগে পাল্টা মামলা দেয়া হয়।