পটিয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

15

পটিয়ায় এক গৃহবধূর লাশের গোসল দেওয়ার সময় জানা গেল তিনি হার্ট এ্যাটাকে মারা যাননি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করে স্বামীর পরিবার। এরপর কবর দেয়ার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। গৃহবধূর নাম খাইরুন্নেছা ওরফে কুসুম (২৫)। তিনি জিরি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী।
গতকাল শনিবার গৃহবধূর মরদেহের গোসল দেওয়ার সময় গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলে। এরপর গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে হাজির হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পটিয়ার জিরির ৪নং ওয়ার্ডে। হত্যার অভিযোগ উঠার পর স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন।
জানা গেছে, ৬ বছর আগে জিরির শাহ আলমের পুত্র ইব্রাহিমের সাথে বড়লিয়া ইউনিয়নের পেরলা গ্রামের আবুল কাসেমের কন্যা খাইরুন্নেছার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। কিছুদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল।
গতকাল শনিবার সকালে গৃহবধূ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে তার বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। এরপর বাদে আসর কুসুমের জানাজা ও দাফনের সময় নির্ধারণ করা হয়। কবর ও জানাজার আগে গোসল দেওয়ার সময় গৃহবধূর ফুফু মরদেহের গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে স্বামীর পরিবারের লোকজন লাশ ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
পটিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. বোরহান জানান, গৃহবধূর গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে কীভাবে মারা গেছেন, পুলিশ নিশ্চিত নয়। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। স্বামী ইব্রাহিম পলাতক রয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।