পটিয়ায় অলিগলির চায়ের দোকানে চলছে সরব আড্ডা

126

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও গ্রামাঞ্চলের অলিগলিতে অবস্থিত ছোট ছোট চা দোকানগুলো তা মানছে না। বড় সড়কের পাশে ও বাজারের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় অলিগলির চা দোকানগুলোতে জমে উঠছে সরব আড্ডা। সন্ধ্যা গড়ালে এ আড্ডা আরো বেড়ে যায়। এর ফলে করোনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন কঠোর হলেও অলিগলিতে নজরদারি অনেকটা এখনো কম। এ সুযোগে এসব দোকানদার সুযোগ নিয়ে মুনাফার লোভে দোকানপাট খোলা রাখছেন। কারণে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে আড্ডা দিচ্ছে। উপজেলার আশিয়া ইউনিয়নের আশিয়া বাংলা বাজার, বড়লিয়া ইউনিয়নের নয়াহাট, শান্তিরহাট, কোলাগাঁও ইউনিয়নের কান্তিরহাট, সফরআলী মুন্সির হাট, হাইদগাঁও ইউনিয়নে ব্রাহ্মনহাট, কেলিশহর ইউনিয়নে দারোগা হাট, কচুয়াই ইউনিয়নে অলিরহাট, কমলমুন্সির হাট, পটিয়া বাসস্টেশন, রেল স্টেশন এলাকায় লোকজন সামাজিক দূরত্ব মানছে না।
এদিকে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা বাস্তবায়নে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাসান ও পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে এবং সেনাবাহিনীর টহল টিম বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। এরপরও উপজেলা ও পৌর সদরে যেসব বাজার ও গ্রামাঞ্চলের চায়ের দোকানে প্রতিদিন আড্ডা চলছে। সন্ধ্যা হলে এ আড্ডা আরো বাড়ছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন। পৌর সদরের খাসমহল রোড এলাকায় মেসার্স খাজা সেনিটারি নামের প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে, পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বিভিন্ন ওয়ার্ডে জীবানুনাশক ওষুধ ছিটানো ও মসজিদে মসজিদে সাবান বিতরণ শুরু করেছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ১০দিন সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ভাইরাস যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এসব চা দোকান আর জনসমাগমকৃত তা মানছেন না। নির্দিষ্ট দূরত্বে থেকে শৃঙ্খলা মেনে ওষুধ ও মুদির দোকানের মালামাল ক্রয় করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মানা হচ্ছে না।
পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন জীবানুনাশক ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা মেনে সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ইতোমধ্যে ওষুধ ও মুদির দোকানের সামনে গোলবৃত্তি করে দেওয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে দোকানের সামনে গোলবৃত্ত করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্রেতা তা মানছে না। তবে এ বিষয়ে বিভিন্ন দোকানদারকে সতর্ক করা হয়েছে।