নীলনকশার নির্বাচন ঠেকাতে রাজপথে থাকার ঘোষণা

12

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘কোনো স্বৈরশাসক স্বেচ্ছায় ক্ষমতা থেকে সরে আসে না, এই সরকারও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হবে।’ গতকাল শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বায়েজিদ লিংক রোডস্থ বাংলা বাজার মোড় থেকে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত এ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সর্বস্তরের জনগণ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে শুরু করেছে। এই অবৈধ সরকার জোর করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। অতি দ্রুত চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, আজকের (শনিবার) পদযাত্রা কর্মসূচিসহ প্রত্যেক কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে বিএনপির নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন জোরদার হতে শুরু করেছে। এই অবৈধ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মী ও জনগণ রাজপথ ছেড়ে যাবে না।
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, উদয় কুসুম বড়ুয়া, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক এম এ হালিম প্রমুখ।
অন্যদিকে একই সময়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। পটিয়ার পাচুরিয়া মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে দীর্ঘ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বোয়ালখালীর মিলিটারি পুল এলাকায় এসে শেষ হয়। পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করছে। সর্বশেষ তার একজন অখ্যাত সাচ্চা কর্মীকে দেশের রাষ্ট্রপতি বানিয়েছেন। যিনি অতীতে ভালো কোনো অবদান রাখেন নাই। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ছিলেন। তিনি সেখানে আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ সবাইকে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। সেজন্য শেখ হাসিনা তার প্রতি আস্থা রেখেছেন। কিন্তু দেশের জনগণ এধরনের রাষ্ট্রপতিকে মেনে নেয়নি। নিশিরাতের সংসদে কাকে রাষ্ট্রপতি বানালো সেটা নিয়ে বিএনপি’র কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমাদের দাবি একটাই, আর সেটা হলো শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দেশের মানুষ আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে মানুষের ভোটের অধিকার ধ্বংস করা হয়েছে। তারা সরকারে আসার পর একটি পুতুল নির্বাচন কমিশন করে দিনের ভ্টো রাতে নিয়েছে। শেখ হাসিনা বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে ধ্বংস করেছেন। আমরা হাসিনার আগের ভোটের ধরন দেখেছি। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন আমরা মানি না। এ মিথ্যাবাদীর অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, সারাদেশে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের লক্ষে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে। দক্ষিণ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রমাণ করেছে জনগণ শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। শেখ হাসিনার পতনের ঘন্টা বেজে গেছে। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আর কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।