নির্যাতিত সেই পূর্ণিমা কিনলেন আ. লীগের মনোনয়ন ফরম

92

একাদশ সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন ২০০১ সালের ভোটে বিএনপি-জামায়াত জোটের জয়ের পর ধর্ষণের শিকার পূর্ণিমা রানী শীল। গতকাল মঙ্গলবার ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরুর দিনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
একাদশ সংসদের সরাসরি নির্বাচনের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ টিতে ভোট হয়েছে। এখন সংরক্ষিত ৫০ টি আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের তোড়জোড় চলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন বণ্টিত হবে। আওয়ামী লীগের ভাগে পড়েছে ৪৩ টি আসন। সেই ৪৩ টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় নিজের জন্য ফরম নিলেন পূর্ণিমা। খবর বিডিনিউজের
২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায় এবং আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উপর নির্যাতন নেমে আসে, যে কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরে আসছেন। সেবার ভোটের পরপরই ৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানার দেলয়া গ্রামের অনিল কুমার শীলের পরিবারের বাড়িতে হামলা হয়। হামলাকারীরা দলবেঁধে ধর্ষণ করে অনিল শীলের ছোট মেয়ে পূর্ণিমাকে, তখন তিনি দশম শ্রেণিতে পড়তেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন পূর্ণিমা।
ধর্ষণকারীরা সবাই বিএনপি-জামায়াত জোটের সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। ২০১১ সালের ৪ মে এই ধর্ষণ মামলায় ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করে আদালত। সেই পূর্ণিমাকে গত বছর তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার পার্সোনাল অফিসার পদে নিয়োগ দেন।
সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের স্ত্রী নীলুফার আনজুম পপিও। নীলুফার সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে সুযোগ দেন, তাহলে আমি দেশের অবলা নারীদের জন্য কাজ করব’।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাকিল ২০১৬ সালের ৫ ডিসেম্বর মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন। তার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) ও উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্বে ছিলেন।