নিজস্ব প্রতিবেদক
পতেঙ্গায় মা ও সৎ বাবার নির্যাতনের শিকার সাত বছরের শিশুকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু পরিবারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। পরে আদালত শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু পরিবারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে পতেঙ্গার ধুমপাড়া থেকে শিশুটির মা রেহেনা আক্তার (২৪) ও সৎ বাবা সেলিম উল্লাহ (৩০) কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে আদালতে হাজির করা হলে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়। সেখানে মা ও সৎবাবার নির্যাতনের বর্ণনা দেয় শিশুটি। আদালত শিশুটিকে সরকারি শিশু পরিবারের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সূত্রে জানা যায়, সাত বছরের ছেলে শিশুকে বাসায় সবসময় নির্যাতন করা হতো। শিশুটি সহ্য করতে না পেরে কান্না করতে থাকে। গত সোমবার রাতে গরম স্টিলের খুন্তি দিয়ে সেক দেওয়া হচ্ছিল। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল গিয়ে শিশুটির মা ও সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় শিশুটির মা ও বাবাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা তার মাকে ফেলে চলে যাওয়ার পর চার মাস আগে তার মা আবার বিয়ে করেন। গ্রেপ্তার দুজন স্বামী ও স্ত্রী দাবি করলেও তাদের বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। মা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন আর বাবা হোটেলে কাজ করেন। মা ও সৎবাবা দুজনই নেশাগ্রস্ত ছিলেন।
শিশুটির মা রেহেনা ্কাতার বাগেরহাট জেলার মোড়ালগঞ্জ থানার বলভদ্রপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও সৎ বাবা সেলিম উল্লাহ বাঁশখালী থানার পূর্ব চাম্বল ফকিরপাড়ার জাফর ইসলামের ছেলে।
