নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বারইপাড়া খাল খনন শেষ করার নির্দেশ মেয়রের

14

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘নগরীর দুই-চারজন মানুষের জন্য পুরো নগরবাসী যুগ-যুগ ধরে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়ে থাকে এটা হতে পারে না। এখানকার সিংহভাগ মানুষ খাল-নালা-নর্দমা দখল করছে না। অল্পকিছু মানুষ এতে জড়িত। আমি তাদের নিজ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অন্যথায় আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবো এবং নগরবাসীকে সচেতন হতে আহব্বান জানাচ্ছি যাতে নালা-নর্দমায় ময়লা আবর্জনা না পড়ে। আমাদের গৃহস্থালীর ময়লা আবর্জনা যদি নালা-নর্দমায় না পড়ে তাহেল জলজট হবার সম্ভাবনা কমে আসবে।’ তিনি গতকাল শনিবার সকালে নগরীর বারইপাড়া খাল খনন কাজ পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
মেয়র আরো বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও জলজট সৃষ্টি হচ্ছে। এশিয়াকে বিশে^র বৃহৎ জনসংখার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ হচ্ছে এর মধ্যে অন্যতম এবং ভাটি এলাকা। এই বহুল জনগোষ্ঠিকে সচেতন করা ছাড়া যত বড় প্রকল্পই নেয়া হউক না কেন তা কোন কাজে আসবে না।’ তিনি বারইপাড়া খালের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আন্তরিক হয়ে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয় বরাদ্দ দিয়েছেন। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে এবং আন্তরিক হতে হবে। মেয়র বলেন, ৬৫ ফুট প্রস্থ ও ২.৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বারইপাড়া খালের পুরো কাজ আগামী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘চসিকের নিজস্ব উদ্যেগে নগরীর ছোট-বড় সকল নালা-নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা ও মাটি উত্তোলন করে পরিষ্কার কার্যক্রম চালাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ হলো পরিষ্কারের পরপরই জনসাধারণ নালায় পলিথিনসহ ময়লা আবর্জনা ফেলে আবার ভরাট করছে। আশা করি এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সচেতন হবেন। নিজের ঘর-বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন এবং নালা-নর্দমায় কোন প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকবেন।’
খাল পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহিন আক্তার রোজি, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি