নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে চেম্বারের কর্মশালা শুরু

5

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম ও দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)’র যৌথ উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাজেটের পরিবর্তন ও ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। নতুন মূসক আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের ধারণা প্রদান এবং ভ্যাট ভীতি কাটানোর লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। করদাতারা আইন সম্পর্কে যত বেশি জানবেন ততই ভ্যাট প্রদান সহজতর হবে। এছাড়াও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট বিষয়ে যে সকল পরিবর্তন এসেছে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে কর্মশালার উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম’র সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন। আলোচক ও প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রাম’র যুগ্ম কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান ও সেলিম শেখ, উপ-কমিশনার মো. শাহীনুর কবীর পাভেল ও ফাতেমা খায়রুন নূর, রাজস্ব কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ। এছাড়াও চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালকবৃন্দ এ কে এম আকতার হোসেন, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. সিরাজুল ইসলাম, অঞ্জন শেখর দাশ, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, সাজির আহমেদ, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এস এম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী ও মাহফুজুল হক শাহসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, মূসক নিবন্ধন গ্রহণ, উৎসে মূসক কর্তনসহ ইএফডি সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন করদাতারা। মূসক আইন ও বিধিমালা সম্পর্কে স্টেকহোল্ডারদের সঠিকভাবে অবহিত করার জন্য ভবিষ্যতে এ রকম আরও প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। তিনি ভ্যাট আহরণে সহায়তা করে দেশের উন্নয়নে অংশ নেয়ার জন্য সকলকে আহবান জানান। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ী ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌহার্র্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হলে করদাতা হয়রানি কমবে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বৃহত্তর চট্টগ্রামে আগামী ১০ বছরে অকল্পনীয় উন্নয়ন হবে। ব্যবসায়ী তথা জনগণের প্রদানকৃত রাজস্ব থেকে সরকার উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। কর সংক্রান্ত আইন জানা থাকলে কর প্রদান সহজতর হয়। তিনি বিদ্যমান করদাতাদের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ না করে করের আওতা বৃদ্ধি; প্রয়োজনে উপজেলা পর্যায়ে কর আদায়ের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন। তিনি সেক্টরভিত্তিক পৃথক পৃথক প্রশিক্ষণ প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য উন্নত মানসিকতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।