ধর্মের অপব্যাখ্যায় কেউ যেন বিশৃঙ্খলা না ঘটায় : রাষ্ট্রপতি

21

ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, ধর্ম মানুষকে আলোর পথ দেখায় এবং অন্যায়, অবিচার ও অন্ধকারের পথ থেকে বিরত থাকতে শিক্ষা দেয়। প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী ও শিক্ষা হচ্ছে মানবকল্যাণ। তাই ধর্মকে ব্যবহার করে বা ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে এবং মানুষকে, বিশেষত যুবসমাজকে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে পরিচালিত করতে না পারে, সে ব্যাপারে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সজাগ থাকতে হবে’।
বড়দিন উপলক্ষে গতকাল বুধবার বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির এ মন্তব্য আসে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীসহ সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহামতি যিশু ছিলেন মানবজাতির মুক্তির দূত, আলো দিশারী। বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে তিনি সৃষ্টিকর্তার মহিমা ও খ্রিস্টধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করেন।
‘মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি’।
২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদ্যাপনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণসহ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন’।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত জর্জ কোচেরি, আর্ল রবার্ট মিলার, যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাই কমিশনার কানবার হোসেন বোরসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে একটি সংগীত দল ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করে। বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি। খবর বিডিনিউজের