দ. কাট্টলীতে প্রতিপক্ষের হামলা, নিহত ১

42

আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রচারণাকালে নগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর (স্বতন্ত্র প্রার্থী) মোর্শেদ আক্তার চৌধুরীর গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এতে তানভীর (৪২) নামে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউন্সিলর মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী।
তিনি বলেন, গতরাতে প্রাণহরি দাশ সড়কের আমার বাসার সামনে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলাম। গণসংযোগের পেছনে তানভীর ছিলেন। হঠাৎ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইলের সমর্থক সোহেল, নেছার, হিরনসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যান। এতে তানভীর গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে গতরাতে পাহাড়তলী থানায় বেশ কয়েকবার ফোন করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
উত্তর আগ্রাবাদে কেন্দ্র কমিটি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত দুই :
চসিক নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব নিয়ে ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের পানওয়ালা পাড়ায় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুইজন আহত হন। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এ সংঘর্ষ হয়। আহতরা হলেন শামসুদ্দিন ও আব্দুল মজিদ।
ঘটনাস্থলে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. জাকারিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সকাল ১০টায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সভা শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। সেখানে ৪৬৭ এবং ৪৬৮ নং কেন্দ্র দু’টি ২৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক নির্বাচনে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদককে আহব্বায়ক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে এবারের কমিটি ঘোষণার সময় ডলার নাসিরের একটি দল কমিটি গঠনে আপত্তি জানান। এতে এক পর্যায়ে ডলার নাসিরের লোকজন আকবর ও তার সমর্থকদের উপর হামলা করে। এতে শামসুদ্দিন এবং আব্দুল মজিদ বিপ্লব আহত হন।
৪৬৮ নং কেন্দ্র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এবং নগর ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক মো. সাজ্জাদ বলেন, প্রতিবার আকবরের নেতৃত্বে আমাদের কমিটি গঠিত হয়। এবারও কমিটি হচ্ছিল। কিন্তু কমিটি ঘোষণার শেষ পর্যায়ে ডলার নাসির, সাইফুল অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমাদের দুই সদস্য আহত হন।
অন্যদিকে ৪৬৭ নং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস ওয়াহিদ মারামারির বিষয়ে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এটা তেমন কিছু না। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। মারামারি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।
উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, ঘটনাস্থলে আমি থাকাতে কোন কিছুই হয়নি। এমনিতে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আপনি কোন তথ্য পেয়ে থাকলে তা ভুল।
কমিটিতে আহবায়ক কাকে করেছেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমার হাতে কাগজপত্র নেই। না দেখে বলা সম্ভব না।