‘দেশ বিভক্তির’ জন্য আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে

46

বান্দরবানে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে আবারও দাবি করেছে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা আদিবাসী নয়, এই শব্দটি বাংলাদেশ সংবিধান পরিপন্থি। দেশ বিভক্তির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার ও অসাংবিধানিকভাবে আদিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাঙালি ছাত্র পরিষদের নেতারা।
সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের আহব্বায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আখন্দ বলেন, পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ এই আদিবাসী তথ্যে বিশ্বাসী নয়। শান্তিচুক্তির সময় আদিবাসী কথাটি অন্তর্ভুক্তিতে আপত্তি ছিল জেএসএস প্রধান সন্তুু লারমা’র। তখন তিনি বলেছিলেন আমরা আদিবাসী নই, আমরা উপজাতি। এছাড়া চাকমা সার্কেল চীফ রাজা দেবাশিষ রায় রাষ্ট্রীয়ভাবে অফিসিয়ালি লিখেছেন বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই। প্রয়াত বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ রাজা অংশৈ প্রু চৌধুরী বলেছিলেন, আমাদের বাপ-দাদারা মিয়ানমারের রাজা। আমরা সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছি। এই অবস্থায় কার স্বার্থে কাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে কথিত আদিবাসী নামক বিষবৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে তা এখনই খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের প্রতি আহব্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, সদস্য সচিব মো. শফিকুর রহমান, মো. নেছার উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ত্রিপুরা, ৩নং ওয়ার্ড আহব্বায়ক মো. সাকিব চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আজ (৯ আগস্ট) বাঙালি ছাত্র পরিষদ আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পাল্টা কোনো কর্মসূচি না দিলেও ১০ আগস্ট বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।