দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল

21

রেকর্ড সংখ্যক নতুন রোগী শনাক্তের দিনে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়ে গেল। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৮৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ হাজার হাজার ১৪৩ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে গত ৮ মার্চ; তার দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু। একদিনে এতো বেশি নতুন রোগী আর কখনও বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি।
আক্রান্তদের মধ্যে আরও পাঁচজন মারা গেছেন গত এক দিনে; তাতে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮২ জন হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন আরও ১৪৭ জন, এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২১০ জন সুস্থ হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা গতকাল সোমবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে তিনজনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, এক জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, আর একজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে তিন জন ঢাকার, এক জন সিলেটের এবং একজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত দেশে যে ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে পুরুষের হার ৭৩ শতাংশ, বাকি ২৭ শতাংশ নারী। তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ২৭ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। ১৯ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৭ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৩ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ এর মধ্যে এবং ২ শতাংশের বয়স ছিল ১০ বছরের নিচে। আক্রান্তের হার বিশ্লেষণে নাসিমা সুলতানা জানান, সারা দেশে কোভিড-১৯ রোগীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশই পুরুষ।
৩ মে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগের মধ্যে ঢাকা জেলা, চট্টগ্রামে কুমিল্লা জেলা, সিলেটে হবিগঞ্জ জেলা, রংপুর বিভাগে রংপুর জেলা, খুলনা বিভাগে যশোর, ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ, রাজশাহীতে জয়পুরহাট, বরিশালে বরিশাল জেলাতেই আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
সুস্থ হওয়া রোগীদের তথ্য দিতে গিয়ে নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৪ জন, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ১৩ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন, মহানগর জেনারেল হাসপাতালে ৭ জন, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ১৩ জন, লালকুটি হাসপাতালে ৪ জন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ১৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলার হাসপাতাল থেকে ১১ জন, চট্টগ্রামে ৭ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, ময়মনসিংহে ১৭ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নতুন দু’টি ল্যাব নিয়ে এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৩৩টি ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ল্যাবে ৬ হাজার ২৬০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের