দুবাইয়ে কষ্টের জয় বাংলাদেশের

15

পূর্বদেশ স্পোর্টস ডেস্ক

উন্নতির ছাপ রাখতে পারল না বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলো পুরোপুরি। কাজে লাগানো গেল না পাওয়ার প্লে। দুইবার জীবন পেয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে দলকে টানলেন আফিফ হোসেন। সঙ্গ পেলেন নুরুল হাসান সোহানের। এরপরও পুঁজি খুব একটা বড় ছিল না। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অঘটন এড়াতে পারল বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপক্ষে ৭ রানে জিতল কোনোমতে। ব্যাট হাতে শুরুতে আলো ছড়ালেন আফিফ হোসেন। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫৮ রান তোলার পর বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে চেপে ধরতে অবদান রাখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার পরেও জয়টা হয়ে গেলো কষ্টার্জিত। কিন্তু দীর্ঘদিন পর এই ফরম্যাটে জিততে না পারা বাংলাদেশের কাছে এই জয়টা পরম স্বস্তির।
১৭তম ওভারের পর স্বাগতিকদের স্কোর ছিল ৮ উইকেটে ১২৪। সেখান থেকে ১৮তম ওভারে ১৪ রান তোলার পর শেষ দুই ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ২১ রান! ১৯ তম ওভারে ১০ রান তুলে শেষটা আরও রোমাঞ্চকর করে তুলে স্বাগতিক দল। কিন্তু শরিফুল দুই উইকেট তুলে চূড়ান্ত সমাপ্তি টেনে দেন ইনিংসের। প্রথমে ফেরান ম্যাচটা বাঁচিয়ে রাখা আফজাল খানকে। তিনি ১৭ বলে ২৫ রান করেছেন। তার পর জুনায়েদকে বিদায় দিলে ১৯.৪ ওভারে ১৫১ রানেই শেষ হয় আরব আমিরাতের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৫৮/৫ (মিরাজ ১২, সাব্বির ০, লিটন ১৩, আফিফ ৭৭*, ইয়াসির ৪,মোসাদ্দেক ৩, সোহান ৩৫*; জুনায়েদ ৪-০-৩৩-০, সাবির ৩-০-১৬-১, আয়ান ৩-০-১৬-১, ফরিদ ৪-০-৩৮-১, মিয়াপ্পান ৪-০-৩৩-২, হামিদ ২-০-১৬-০)
সংযুক্ত আরব আমিরাত : ১৯.৪ ওভারে ১৫১ (ওয়াসিম ১৫, সুরি ৩৯, লাকরা ১৯, অরবিন্দ ১৬, রিজওয়ান ৫, হামিদ ২, আয়ান ২৫, ফরিদ ২, মিয়াপ্পন ১২, জুনাইদ ১১, সাবির ০*; সাইফ ৪-০-৪০-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, নাসুম ৪-০-৩১-০, শরিফুল ৩.৪-০-২১-৩, মিরাজ ৩-০-১৭-৩, মোসাদ্দেক ১-০-৯-০)