দুই জেলায় বজ্রাঘাতে ৮ জনের মৃত্যু

27

পূর্বদেশ অনলাইন
সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বজ্রাঘাতে তিন কিশোরসহ আট জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় বজ্রাঘাতে তারা মারা যান। এ সময় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। মৃতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মিলন মিয়া (১৪) ও তারা মিয়া (৩৫); ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া (১৩), বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬৫) ও চরমহল্লা ইউনিয়নেব চরদুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ, তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া (১৪) ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার রিয়াজ উদ্দিন (৩০) ও কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর গ্রামের সম শব্দকর (৪৫)। দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর জানান, উপজেলার রণভূমি হাওরে ধান কাটার সময় মিলন মিয়া ও তারা মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। ছাতক থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির জানান, হাওরে ধান কাটার সময় ছাতক উপজেলার দেবেরগাঁও গ্রামের মহিম মিয়া, একই উপজেলার বড়কাপন গ্রামের আরশ আলী (৬৫) ও চরমহল্লা ইউনিয়নেব চরদুরলভ গ্রামের আব্দুস সামাদ মারা যান। তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের রমজান মিয়া ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এদিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. অজন্তা দেবী বলেন, রিয়াজ উদ্দিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, রিয়াজ ভোরে ধান কাটতে হাইল হাওরে যান। সকালে বজ্রাঘাতের সময় তিনি জমিতে ধান কাটছিলেন।কমলগঞ্জ থানার এসআই কামরুল ইসলাম জানান, রবিবার সকালে বৃষ্টির মধ্যে ধানি জমি থেকে গবাদিপশু আনতে যান কৃষক সম শব্দকর। এ সময় গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। সুরতহাল শেষে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।