তিন দফায়ও ইজারা শূন্য সরকারহাট

21

আনোয়ারা প্রতিনিধি

তিন দফা সময় বাড়িয়েও ইজারা শূন্য সরকারহাটে হাসিল তুলতে এখন প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উপজেলার হাট-বাজার ইজারা প্রদান কমিটির সদস্যদের সাথে কথা বলে এমনটিই আঁচ করা গেছে। আর ৯ দিন পর (৩০ চৈত্র) গত বছরের ইজারার মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু এখনো ইজারার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এমতাবস্থায় গত বছরের ইজারার বকেয়া প্রায় আড়াই কোটি টাকার কী হবে তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। দফায় দফায় সময় নিয়েও ইজারার বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না বর্তমান ইজারাদার। আনোয়ারা উপজেলা প্রশাসনের নীতিমালার হাট-বাজার ইজারার শর্ত মতে- সং¯িøষ্ট ইজারাদার কোনো বাজার ইজারা পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে ইজারার সম্পূর্ণ টাকা (ভ্যাটসহ) পরিশোধ করতে বাধ্য। কিন্তু সরকারহাটের গত বছরের ইজারার প্রায় আড়াই কোটি টাকা এখনো বকেয়া। গত বছর সরকারহাট পশুর বাজারের ইজারা মূল্য ছিল ভ্যাটসহ প্রায় ৭ কোটি টাকা। এই বছর ছয়জন ইজারাদার সরকারহাটের দরপত্র গ্রহণ করে। কিন্তু তিন দফা সময় বাড়ানোর পরও কোনো ইজারাদার দরপত্র জমা দেয়নি। ফলে এই পশুর হাটের ইজারা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা নাটকীয়তা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ইজারার মূল্য কমাতেই সিন্ডিকেট করে এই কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে ইজারাদাররা। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এলাকার উন্নয়ন। বাজার ইজারার সিংহ ভাগ টাকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উন্নয়নে খরচ করা হয়।
জানা যায়, গত ১৫ মার্চ আনোয়ারা উপজেলার ২০টি হাট-বাজার ইজারা প্রদানের জন্য প্রথম দফা দরপত্র জমাদান ও দরপত্র খোলার শেষ দিন ছিল। সেদিন উপজেলার ১৭টি হাট-বাজার ইজারা হলেও দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পশুর হাট হিসেবে পরিচিত সরকার হাটের ইজারার দিকে সবার দৃষ্টি থাকলেও কাকতালীয়ভাবে ছয় দরপত্র গ্রহীতার কেউ এই হাটের ইজারা নিতে দরপত্র জমা না দেওয়ায় প্রথম দফায় ইজারা প্রদান সম্ভব হয়নি। পর পর দুই মেয়াদে সময় বাড়ানো হলেও দরপত্র গ্রহীতারা ফরম জমা না দেওয়ায় তিন দফায়ও ইজারা শূন্য থাকে সরকারহাট।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন জানান, সরকারহাটের ইজারার বকেয়া টাকা পরিশোধের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারকে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ইজারার বিষয়ে বাজার ইজারা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।