জেলহত্যা দিবসের আলোচনায় বক্তারা ৭৪’র কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিকারী সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয়

36

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, খুনী মুশতাক, জিয়া চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে বর্বরতার নতুন ইতিহাসের জন্ম দেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিতে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ৭৫’র ৩ নভেম্বর কারাগারে চার নেতাকে হত্যা করা হয়। বিশ্বব্যাপী এটি এক নিন্দিত ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ। যা সমগ্র বিশ্বকে স্তম্বিত করেছে।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাÐ দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার শত্রæরা সত্যের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা আজ স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাদের আর্দশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিথ্যা, ষড়যন্ত্র, হত্যা, ক্যুর রাজনীতি ও জঙ্গীবাদের কবর রচনা হয়েছে।
তিনি গতকাল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এনব কথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশ ও দলের সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় চার নেতা। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানি করেননি। জাতীয় চার নেতার আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ও উপজেলা
চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, সহ সভাপতি মো. ইদ্রিস, সম্পাদক মÐলীর সদস্য এড. মির্জা কছির উদ্দিন, এড. জহির উদ্দিন, প্রদীপ দাশ, খোরশেদ আলম, আবু জাফর, বোরহান উদ্দিন এমরান, নুরুল আবছার চৌধুরী, এড. আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, এড. মুজিবুল হক, গোলাম ফারুক ডলার, আবদুল কাদের সুজন, এড. কামরুন নাহার, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, বিজয় কুমার বড়ুয়া, চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, চেয়ারম্যান নাসির আহমদ, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, মাহবুবুর রহমান শিবলী, এ কে আজাদ, চন্দনাইশ পৌরসভা মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা প্রমুখ।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মÐলীর সদস্য ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন বলেছেন, কারাভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাÐ পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম মানবতা বিরোধী হত্যাকান্ড। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এ হত্যাকান্ডের খলনায়কদের শরীরে মানুষের রক্ত ছিল না, তারা মানুষ নামের কলংক।
তিনি গতকাল জেলহত্যা দিবসে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সংঠনের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও রাউজানের পৌর মেয়র দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ সালাম বলেন, ১৫ আগস্ট আর ৩ নভেম্বরের হত্যাকাÐ একই সূত্রে গাঁথা। খুনীরা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেন সহ সভাপতি অধ্যাপক মো মঈনুদ্দিন, এড ফখরুউদ্দিন চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক মÐলীর সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, নজরল ইসলাম তালুকদার, মো. আলী শাহ, আলাউদ্দিন সাবেরী, শওকত আলম, বেদারুল আলম চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উল আলম লাভলু, ডা. সেলিম উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন তালুকদার, ইয়াছিন মাহমুদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু প্রমুখ।
মহানগর আওয়ামী লীগ : মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ৭৪ সালে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে একাত্তরের পরাজিত শক্তির ইন্ধনে যে সিন্ডিকেট বঙ্গবন্ধু হত্যার পথ প্রশস্ত করেছিল, এখনও সেই অশুভ সিন্ডিকেট কুমতলবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। লক্ষ-লক্ষ টন ভোগ্যপণ্য মজুদ আছে, তবুও দাম ঊর্ধ্বগতি কেন? কারণ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি রুদ্ধ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়। কিন্তু সজাগ ও সচেতন জনগণ তা কিছুতেই হতে দেবে না।
জেলহত্যা দিবসে গতকাল থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, ৩ নভেম্বর নিষ্ঠুরতম ট্র্যাজেডি। তবে জাতীয় চার নেতা প্রমাণ করেছেন আদর্শিক রাজনীতির মৃত্যু নেই। তাঁরা রক্ত দিয়ে ষড়যন্ত্রের চোরাবালিতে পা রাখেননি এবং শহীদ হয়েছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর মত ও পথকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, যারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করলেই বাংলাদেশ ধ্বংস হবে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব মুছে যাবে এবং এদেশ পাকিস্তানি কনফেডারেশন ভুক্ত হবে। তাদের সে কুমতলব হাসিল হয়নি। বরং তারাই ইতিহাসের আস্থাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু। উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা শফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি