জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে বন্দর

203

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর সংকেত দেখাতে বলেছে। বিপদ সংকেত ৬ নম্বর জারির পর বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি অনুসরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের জেটিগুলো থেকে জাহাজ সরিয়ে নিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গতকাল সোমবার বিকেল থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ জেটি থেকে জাহাজগুলো বহির্নোঙরে পাঠানোর কাজ শুরু করে। আজ মঙ্গলবারের মধ্যে জেটির সব জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠানো সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেওয়া তথ্য মতে, সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ১২টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ এবং ৫ জেনারেল কার্গো রয়েছে। এছাড়া বন্দরের বহির্নোঙরে আছে পণ্যবোঝাই আরও ৬১টি জাহাজ। সেগুলো থেকে লাইটারেজ জাহাজে পণ্যখালাস অব্যাহত আছে। তবে সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাস সীমিত হয়ে পড়ে। সোমবার সকাল থেকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় সাগর খুব উত্তাল থাকার খবর পাওয়া গেছে। সাগর ক্রমে উত্তল হয়ে উঠছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, বিপদসংকেত ৬ নম্বর জারির পর আমাদের যে নিজস্ব অ্যালার্ট-থ্রি আছে সেটি অনুসরণ করতে বলেছি। জেটিতে ১২টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ এবং ৫ টি সাধারণ কার্গোসহ ১৭টি জাহাজ আছে। আর বহির্নোঙরে আছে ৬১টি মত জাহাজ।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাইক্লোন ডিজেস্টার প্রিপার্ডনেস অ্যান্ড পোস্ট সাইক্লোন রিহ্যাবিলেশন প্ল্যান ১৯৯২ অনুযায়ী ৬ নম্বর সংকেতের সবধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৮৪টি মেডিকেল টিম। ২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং দেড় লাখ খাওয়ার স্যালাইন মজুদ আছে। এছাড়া ১৪ হাজার ৬৬০ জন স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত আছে।