‘ছেলেধরা’ গুজব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

39

দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে একাধিক হত্যাকান্ড ঘটেছে। এ ধরনের হত্যা বন্ধে এবার দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
এ তথ্য নিশ্চিত করে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিকালে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) ড. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ছেলেধরা গুজবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে কোনও অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ যাতে কোনও শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করতে না পারে, আমরা সে বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ খবর বাংলা ট্রিবিউনের
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি মাউশির নির্দেশনায় বলা হয়, ছেলেধরা বিষয়ক গুজবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও নিরীহ লোকজনকে হত্যার ঘটনাও ঘটছে। এ ধরনের ঘটনা রোধে সতর্ক থাকতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সতর্ক করা যাচ্ছে যে, কোনও অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, সারাদেশে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন ছয়জন, আহত হয়েছেন ১৫ জন। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৯টি, জিডি হয়েছে ১৫টি এবং গ্রেফতার হয়েছেন ৮১ জন। এর মধ্যে রাজধানীর বাড্ডায় গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেণু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। এদিকে পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা লাগবে- এমন গুজব ছড়ানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার ছেলেধরা গুজবে গণপিটুনিতে হত্যা বন্ধে পুলিশের সব ইউনিটকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দফতর।