চোখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি

13

চবি প্রতিনিধি

মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে ১০৭ তম দিনের মতো আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিকে সবাই যৌক্তিক বললেও কেন এই দাবির প্রেক্ষিতে ১০৭ দিন আন্দোলন করার পরও কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না জানি না। তাই চোখে কালো কাপড় বেঁধে আন্দোলন করছেন তারা।
এ বিষয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. শহীদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আমাদের ইন্সটিটিউটের প্রশাসন সবাই বলছেন- আমাদের দাবি যৌক্তিক। অথচ এই দাবির প্রেক্ষিতে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা এখনো কোনো আশার আলো দেখতে পাইনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সবাই বলছে দেশে অর্থনৈতিক মন্দার কারণ এখন চারুকলা ইন্সটিটিউট মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। বিশাল অবকাঠামোর প্রয়োজন কিন্তু বাজেট স্বল্পতা। কিন্তু আমরা তো এখনই বিশাল অবকাঠামো চাচ্ছি না। আমরা চাই আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক, চারুকলা ইন্সটিটিউট মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। ধীরে ধীরে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হোক।নতুন পুরাতন কোনো এক কলাভবনে আপাতত আমাদের ক্লাস করার ব্যবস্থা করা হোক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তাদেরকে ধৈর্য ধরে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে বলেছে। চারুকলা ইন্সটিটিউটে কাজ চলছে, সব সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন তাদের দাবি নাকচ করেনি, বিবেচনায় রেখেছে। সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখানে শুধু অবকাঠামোর বিষয় না, অনেকগুলো প্রক্রিয়া আছে। সবার আগে যেটা প্রয়োজন তা হল চারুকলা ইন্সটিটিউটের একাডেমিক বোর্ডের সবার সম্মতিপত্র। কিন্তু ইন্সটিটিউটের সব শিক্ষকই শহরে থাকতে চান।’
মূল ক্যাম্পাসে ফেরাসহ ২২ দফা দাবিতে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর আন্দোলন শুরু করেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা। ৮২ দিন আন্দোলনের পর ২৩ জানুয়ারি ক্লাসে ফিরেন তারা। ৭ দিনের আল্টিমেটাম শেষে ৩১ জানুয়ারি থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। গত ৯ ফেব্রæয়ারি চারুকলা আন্দোলনের শততম দিনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এসময় কর্মরত সাংবাদিকদেরও হেনস্তা করে ছাত্রলীগের অনুসারীরা।