নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর চেরাগী পাহাড়ে লুসাই ভবনের পাশে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে নগর যুবলীগের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে আসে ওই দুই গ্রুপ। মিছিল চেরাগী পাহাড়ে পৌঁছালে হঠাৎ বিক্ষিপ্ত হয়ে বেশকিছু ছেলে লুসাই ভবনের গলিতে প্রবেশ করে। এর মধ্যে কয়েকজনের হাতে লাঠিও ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গ্যাং লিডার সুজয়মান বড়ুয়া জিতুসহ অন্তত ত্রিশজন মিলে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজনকে মারধর শুরু করে। এসময় বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসূল নিশান গ্রুপের ওপর প্রতিপক্ষ অতর্কিত হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে।
এদিকে মারামারির ঘটনায় আহত হয়েছেন সোহেল, রাসেল ও সাইফুল আকবর। তারা সবাই নিশানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে নগর যুবলীগের সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে আসে ওই দুই গ্রুপ। নিশান গ্রুপ তাদের কার্যক্রম শেষে চেরাগী পাহাড় এলাকায় লুসাই ভবন এলাকায় অবস্থান করে। এসময় খালেদ হোসেন অনন্ত, সুজয়মান বড়ুয়া জিতু, ফয়সাল রাজসহ আরো ২০ থেকে ৩০ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পূর্বশত্রুতার জের ধরেই দু-পক্ষের মধ্যে মারামারির এ ঘটনা।
নুরু নামে এক দোকানি বলেন, চেরাগী পাহাড় এলাকায় বহিরাগতরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঝামেলা সৃষ্টি করে। তাদের এসব ঘটনার কারণে স্থানীয়দের পুলিশের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মারামারি করতে আসা ছেলেগুলো আকবরশাহ এলাকার।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রসূল নিশান বলেন, চেরাগী পাহাড় এলাকায় আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় প্রতিপক্ষের কয়েকজন এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জামালখান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই বাবলু কুমার পাল বলেন, প্রেস ক্লাবে যুবলীগের বিক্ষোভ সভায় যোগ দিতে লিমনের নেতৃত্বে একটি মিছিল যাচ্ছিল। এসময় মিছিল থেকে কিছু ছেলে বিক্ষিপ্ত হয়ে চেরাগী পাহাড় এলাকায় মারামারি করে। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
