‘চলমান সংকটে সৃষ্ট দুর্ভোগের দায় সরকারকে বহন করতে হবে’

6

ঢাকা প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় দলের শীর্ষ নেতারা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, দেশে চলমান সংকটে সৃষ্ট দুর্ভোগের দায় সরকারকে বহন করতে হবে। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে লাগামহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনজীবনে অপরিসীম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে। পাঠ্য বইয়ে ভ্রান্ত, বিকৃত ও অসত্য তথ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। দ্রুত সব ভুল বই বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস ও মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে বই রচনার দাবি জানান তারা।
দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অভিযোগ করেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গত সোমবার অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সভায় পাঠ্য বইয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
এছাড়া ২৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে সভায় আলোচনা হয় এবং সম্ভাব্য প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে দমন করতে হত্যা, মিথ্যা মামলা, গণগ্রেপ্তার, বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি ও হয়রানির তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। এবং অবিলম্বে আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
বিএনপি নেতারা বলেন, বর্তমান সরকারের অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে লাগামহীন দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণেই ডলার সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অপ্রয়োজনীয়, অনুৎপাদনশীল খাতে ডলার ব্যয় এবং অপকৌশলে ডলার বিদেশে পাচার করার ফলে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অর্থনৈতিক সংকটে জনজীবনে যে অপরিসীম দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, সে জন্য সরকারকে দায়ী করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়।
সভায় সদ্য প্রকাশিত স্কুলের পাঠ্য বইয়ে ইতিহাস ও বিষয়বস্তুর বিকৃতি, ভুল তথ্য ও ভাষাগত ভুলের দোষে দুষ্টু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত বিষয়ে তীব্র অসন্তোষ জানানো হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।