চবিতে টর্চার সেলের কোনো অস্তিত্ব নেই

32

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) টর্চার সেলের কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছে চবি শাখা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করলো যে দেশের একটি স্বনামধন্য টিভি চ্যানেল বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তথাকথিত টর্চারসেল নিয়ে প্রচারিত সংবাদের একেবারে শেষের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জুড়ে দিয়েছে। আমরা তাদের এই ধরণের ভিত্তিহীন, মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি দেশের সকল গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানাচ্ছি আপনারা সরেজমিনে এসে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকারকারীদের দোসর শিবির যখন হল গুলোতে অবস্থান করতো তখন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রুমে রুমে শিবিরের ছাত্র নির্যাতনের খবর শোনা যেতো। হল গুলোতে ছাত্রলীগের অবস্থান সুসংহত হওয়ার পর থেকে সাধারণ ছাত্র নির্যাতনের একটাও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় গণমাধ্যমটির এই ধরণের অনাকাক্সিক্ষত সংবাদের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। তাই আমরা ওই গণমাধ্যমসহ সকলের প্রতি আরো দায়িত্বশীল ও পেশাদারী সাংবাদিকতার প্রত্যাশা রেখে উক্ত সংবাদ হতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে দেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টর্চার সেলের রয়েছে এর একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও ছিল। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এ খবরের সমালোচনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. রেজাউল করিম পূর্বদেশকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্চারসেল বা এমন কিছুর অস্তিত্ব নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ঘটনা ঘটলে জানাজানি হয়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। কিন্তু এ পর্যন্ত টর্চারসেলের বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়ানো উচিত হয়নি।