চট্টগ্রামে কমেনি ডায়রিয়ার প্রকোপ

16

পূর্বদেশ অনলাইন
জেলা-উপজেলার হাসপাতালে এখনও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ৯৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে ৮৮ জন।সোমবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, মীরসরাইয়ে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছে ৪ জন, সীতাকুণ্ডে আক্রান্ত ২ জন ও সুস্থ হয়েছে ৪ জন, সন্দ্বীপে আক্রান্ত ৩ ও সুস্থ ৪ জন, ফটিকছড়িতে আক্রান্ত ২ ও সুস্থ ৭ জন, হাটহাজারীতে আক্রান্ত ৫ ও সুস্থ ৫ জন, রাউজানে আক্রান্ত ৫ জন, রাঙ্গুনীয়ায় আক্রান্ত ১০ ও সুস্থ ৯ জন, বোয়ালখালীতে আক্রান্ত ১১ জন ও সুস্থ ১০ জন, আনোয়ারায় আক্রান্ত ১০ ও সুস্থ ১৩ জন, পটিয়ায় আক্রান্ত ১৩ ও সুস্থ ৭ জন, বাঁশখালীতে আক্রান্ত ১৪ ও সুস্থ ১২ জন, চন্দনাইশে আক্রান্ত ৮ ও সুস্থ ৯ জন, সাতকানিয়ায় আক্রান্ত ৩ ও সুস্থ ২ জন, লোহাগাড়ায় আক্রান্ত ৪ ও সুস্থ হয়েছে ২ জন। এদিকে নগরীর ইপিজেড, সল্টগোলা, হালিশহর, কাট্টলী ও পতেঙ্গা এলাকায়ও কমেনি ডায়রিয়ার প্রকোপ। এসব এলাকা থেকেও আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেশ কিছু নতুন রোগী।বিআইটিআইডির সহযোগী অধ্যাপক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, হাসপাতালে এখন অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি আছে। রোগীদের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে প্রতিদিনই যে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাতে ২৮ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত কলেরা শনাক্ত হচ্ছে।চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, এখনও কারণ জানা না গেলেও ডায়রিয়া ও কলেরা পানিবাহিত রোগ হওয়ায় পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে এবং খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। জেলার জনসংখ্যা অনুসারে উপজেলা পর্যায়ে দৈনিক এই সংখ্যক লোক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়াটা স্বাভাবিক। নগরীতে গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। আক্রান্তদের মধ্যে মাঝ বয়সী ও পুরুষের সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি যেসব এলাকায় স্যানিটেশন ব্যবস্থা নাজুক সেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।