চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশীদার হতে চাই : জেলা প্রশাসক

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ও আকর্ষণীয় জেলা চট্টগ্রাম। নানা কারণে দেশের অন্য যে কোন জেলা থেকে স্বতন্ত্র এই নগরী। চট্টগ্রাম জেলার উন্নয়নে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চট্টগ্রামকে খুবই পছন্দ করি। চট্টগ্রাম জেলার উন্নয়নে অংশীদার হতে চাই। তবে তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগিতা করে যেতে হবে।
গত সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এসব কথা বলেন। নগরীর চকবাজার কে বি ফজলুল কাদের রোডের আলিয়াঁস ফাঁসেজ সংলগ্ন উদযাপন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভাগের ৩০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসককে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
জেলা প্রশাসক বলেন- শিক্ষা, চিকিৎসা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া এই চারটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে জেলার উন্নয়নের কাজ করা হবে। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে পারে। প্রশাসন, কর্পোরেট এবং সাধারণ জনগণকে এক সুতোয় বাঁধা গেলে চট্টগ্রামের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত। বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জেলার উন্নয়নে তাদের সহযোগিতায় অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।
সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চবি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে চট্টগ্রামের জন্য আলাদা মমত্ববোধ রয়েছে জেলা প্রশাসকের। চট্টগ্রমের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে তিনি কাজ করে যাবেন আশা করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে উনাকে সহযোগিতা করে যাবো। তিনি আগামী ৪ ফেব্রæয়ারি আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবকে সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। উদযাপন কমিটির নির্বাহী সদস্য সাউথইস্ট ব্যাংকের এরিয়া হেড রাশেদুল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ ফ ম আওরঙ্গজেব, চবি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রফেসর আবু মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. মুয়াজ্জেম হোসেন, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ডিএমডি রোসাঙ্গীর বাচ্চু, সাবেক শিক্ষার্থী মো. এমরান মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট তাসলিমুল আলম, সুজন কান্তি বিশ্বাস, কামরুল মোরশেদ তমাল, একরাম, মিল্টন, অনুপম দাশগুপ্ত, জিয়া, আকতার, বক্কর, জাহেদ, আনোয়ার, জিয়া।
বক্তারা বলেন, ম্যানেজনেন্ট বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে জেলা প্রশাসককে পেয়ে আমরা গর্বিত। ইতোমধ্যে সুর্বণজয়ন্তী উদযাপনে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভ‚তপূর্ব সাড়া পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা উৎসব উদযাপন করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চাই।