গোয়ালঘরে আগুনে পুড়ে মারা গেল গরু

10

চন্দনাইশ প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়িতে অগ্নিকান্ডে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাতবাড়িয়াতে গোয়ালঘরে আগুন লেগে ২টি গোয়ালঘর ও ১টি গরু পুড়ে মারা গেছে। গতকাল ১০ আগস্ট ভোর রাতে সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বহরমপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডে মাও. আবু বক্কর ও ছিদ্দিক সওদাগরের ২টি গেয়ালঘর পুড়ে যায। এসময় আবু বক্করের গোয়াল ঘরে থাকা ১টি গাভী পুড়ে মারা গেছে। আগুনে গোয়ালঘরে বস্তা ভরে রাখা ধান, লাকড়ি, গোয়াল ঘরসহ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এর আগে ৯ আগস্ট ভোর রাতে ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ সংলগ্ন চেমীরমুখ বড়ুয়াপাড়া এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৯টি দোকান পুড়ে যায়। এতে অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানের মালিকরা হলেন- আবু তৈয়বের গ্যাস ও তেল, ডা. হারুনের ফার্মেসি ও ব্যক্তিগত চেম্বার, মো. সাজ্জাদের মুদি ও কুলিং কর্নার, টিপু দাশের সার ও কীটনাশক, মো. তৌহিদের মোটর পার্টস ও গ্যারেজের দোকান। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলেও তারা ঘটনাস্থলে আসার আগেই ৯টি দোকান পুড়ে যায়। এসময় আবুল বশর সওদাগর ও রফিকুল ইসলাম নামে ২ ব্যবসায়ীর ২টি মোটর সাইকেল পুড়ে যায়। এসময় গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরিত হওয়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতিও বেশি হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধোপাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলীম জানান, মঙ্গলবার ভোরে আগুন লেগে ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে কম করে হলেও অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অগ্নিকান্ডরর খবর পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির নির্দেশনায় তিনি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গালিব চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিজন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন।
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমদ জানান, বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুন দ্রুত তেল ও গ্যাসের দোকানে এসে পড়ায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং আগুন পাশাপাশি ৮/৯টি দোকান গ্রাস করে নেয়।