গভীর সাগরের ‘ইলেক্ট্রিক ইল’ সীতাকুন্ড উপকূলে

32

পূর্বদেশ ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের উপকূলে একটি ‘ইলেক্ট্রিক ইল’ ধরা পড়েছে। তবে এ মাছ সাধারণত গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত শনিবার সীতাকুন্ড পৌর সদরের মোহন্তর হাটের রূপালী মৎস্য আড়তে এটি বিক্রির জন্য আনেন এক মৎস্যজীবী।
শরীরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ব্যতিক্রমী মাছটি দেখতে এ সময় ভিড় করেন স্থানীয়রা।আড়তের কেউ মাছটি চিনতে
না পেরে তারা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানান। মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয় এক বাসিন্দা সাগরের পাশের একটি খালে ইলেক্ট্রিক ইলটি ধরেন। পরে মাছটি চিনতে না পেরে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে আমাদের প্রতিনিধি ওই আড়তে যান। তিনি দেখেন, আমাকেও ছবি পাঠান। তখন জানতে পারি এটি একটি ইলেকট্রিক ইল। ওজন সাড়ে পাঁচ কেজির বেশি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাগরে এই মাছ নিয়মিত পাওয়া যায়। তবে আমাদের যেসব ফিশিং বোট গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায় তারা হঠাৎ হঠাৎ এ মাছ পায়। এরকম কিছু ইলেক্ট্রিক ইল মাছ চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে আসে। তবে তা খুবই কম। উপকূলের কাছে এই মাছ ধরা পড়ে না। শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টি ছিল। তাই ইলটি উপক‚লের দিকে চলে আসতে পারে’।
ইলেক্ট্রিক ইল ছোট মাছ শিকার ও বিপদে পড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বলে জানান এ মৎস্য কর্মকর্তা।
মাছটি বিরল ক্ষমতার অধিকারী জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘এই প্রজাতির মাছ আত্মরক্ষা ও শিকারের জন্য নিজ দেহে তৈরি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। গভীর সাগরে এ মাছের দেখা মিললেও উপকূলের এত কাছে সচরাচর আসে না। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসে থাকতে পারে। এটা অন্য ইলের মতই বাইন জাতীয় মাছ’। খবর বিডিনিউজের
এদিকে মাছটি শনিবারই বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান মো. কামাল। Electrophorus electricus বৈজ্ঞানিক নামের মাছটি ছয় থেকে আট ফুট লম্বা ও সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। আত্মরক্ষা ও শিকারের জন্য শরীরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনসহ কয়েকটি নদীতে এই ইলের দেখা প্রচুর মেলে।