গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ পশুরহাট

21

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত দুই কোরবানির ঈদ গেছে করোনা মহামারীতে। পশু কেনার আমেজ থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বাজার সংখ্যা কমানো হয়েছিল। ফলে এ খাতে রাজস্ব আয়ও কম হয় সংস্থাটির। তাই এবারে চাহিদার প্রেক্ষিতে গতবারের তুলনায় দ্বিগুণ পশুর হাট বসিয়ে রাজস্ব ঘাটতি পুষিয়ে নিতে চায় চসিক।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তিনটি স্থায়ী পশুর হাটসহ মোট ১৩টি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক। তবে কতটি হাটের অনুমোদন দেওয়া হবে, তা গতকাল পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি। গত বছর তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ী হাট বসেছিল।
চসিকের রাজস্ব বিভাগ জানায়, গত দুই বছর করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব ছিল। এ জন্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে বেশি হাট বসানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি। তবে এবার সে সমস্যা নেই। গতবার সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর আবেদন করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটির অনুমোদন দিয়েছিল প্রশাসন। তবে এ জন্য ১৭ শর্ত দেওয়া হয়েছিল। যদিও বাস্তবে অনেক শর্ত সে সময় মানা হয়নি। চলতি বছরের জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পবিত্র ঈদুল আজহা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবছর ঈদের আগের ১০ দিন নগরে পশুর হাটগুলো বসে। এতে চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা গরু-ছাগল নিয়ে আসেন। এসব হাটে চট্টগ্রাম নগর ও এর আশপাশের উপজেলার লোকজনও পছন্দের গরু-ছাগল কিনতে আসেন।
চসিকের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন জানিয়েছেন, চসিকের তিনটি স্থায়ী পশুর হাট হল সাগরিকা গরুর বাজার, বিবিরহাট গরুর বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের বাজার। এগুলো ছাড়াও দশটি অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে চায় চসিক। এর মধ্যে কর্ণফুলী গরুর হাট (নুর নগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, স্টিলমিল হাট, পতেঙ্গা সিটি করপোরেশন উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রæপের খালি মাঠ, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধুমপাড়া রিং রোডের পূর্ব পাশের খালি জায়গার মাঠ, চৌধুরীহাট রেলস্টেশন বাজার, আমান বাজার ওয়াসা মাঠ, মাদারবাড়ি রেলক্রসিং সংলগ্ন বালুর মাঠ ও কালুরঘাট ব্রিজের উত্তর পাশে অস্থায়ী পশুর হাট। তিনি জানান, সাগরিকা গরুর হাট ইজারার চুক্তি ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ কারণে ইজারাদারের কাছ থেকে হাট বুঝিয়ে নেওয়া হয়েছে। চসিকের কর্মচারীরা হাট থেকে টোল আদায় করছেন। ইজারা দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে চারবার দরপত্র আহŸান করা হয়েছে। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। গত বছরের চেয়ে ৬ শতাংশ বাড়িয়ে আট কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৬৩ টাকা সাগরিকা হাটের দর নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২৫ মে দরপত্র খোলার শেষ দিনে কেউ এত টাকায় দরপত্রে অংশ নেয়নি। ছয়বার পর্যন্ত দরপত্র আহŸান করা হবে। এরপর বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে। মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে তখন সে মোতাবেক করা হবে।