খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’

33

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ রয়েছে এবং ‘কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্নতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক জিলন মিঞা সরকার সোমবার বলেছেন, ‘আপনারা বলতে পারেন সন্তুষ্ট কিনা। অবশ্যই সন্তুষ্ট। ম্যাডাম নিজেও সন্তুষ্ট। উনি চিকিৎসায় সন্তুষ্ট, আমরাও সন্তুষ্ট।’-খবর বিডিনিউজের
দুর্নীতির দুই মামলায় দন্ড নিয়ে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিসসহ বয়সজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য গত ১ এপ্রিল থেকে তাকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।
এই হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সী খালেদার সুষ্ঠু চিকিৎসা ‘হচ্ছে না’ অভিযোগ করে তাকে ঢাকার কোনো বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন বিএনপি নেতারা।
তবে স¤প্রতি বিএনপির এমপি হারুনুর রশীদ এবং খালেদার বোন সেলিমা ইসলাম হাসপাতালে তাকে দেখে এসে বলেন, জামিন পেলে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন।
অন্যদিকে সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, জামিন দেওয়া না দেওয়া আদালতের বিষয়; এখানে সরকারের ‘কিছু করার নেই’।
এই আলোচনার মধ্যেই সোমবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের ডা. হাফিজুর রহমান (মিল্টন) হলে সংবাদ সম্মেলনে আসেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একে মাহবুবুল হক এবং মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. জিলন মিঞা সরকার।
মাহবুবুল হক বলেন, ‘ভর্তির সময় থেকে শুরু করে গত ৭ মাসে উনার অবস্থার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থিতিশীল রয়েছে। বাট উনার অবস্থার কোনোভাবেই কোনো অবনতি ঘটেনি। এ পর্যন্ত উনার চিকিৎসা ভালো হচ্ছে।’
প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার রক্তচাপ ও শর্করার পরিমাণ মেপে দেখা হচ্ছে জানিয়ে প্রধান অধ্যাপক জিলন মিঞা বলেন, ‘আমি গত পরশুদিনও পৌনে এক ঘণ্টা ম্যাডামকে দেখেছি। প্রায়ই আমি উনাকে দেখি। ম্যাডাম খুশি, খুব ই¤েপ্রসিভ, উনি সব সময় হাসি-খুশিতে কথা বলেন।’
খালেদা জিয়া ২৮ বছর ধরে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, এটা নিরাময়যোগ্য নয়। তবে নিয়মিত চিকিৎসায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে।