কুতুবদিয়ায় সরকারি চাল খোলাবাজারে বিক্রি

37

কক্সবাজারের কুতুবদিয়াদ্বীপে সরকারি চাল খোলাবাজারে বিক্রি করার সময় বড়ঘোপ বাজার থেকে হাতেনাতে জব্দ করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। জানা গেছে, গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় স্থানীয় বড়ঘোপ বাজারে সরকারি চাল খোলাবাজারে বিক্রি হওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রভাত চাকমা কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দিদারুল ফেরদাউসকে সাথে নিয়ে অভিযান চালান। এ সময় বড়ঘোপ বাজারের আক্কাস স্টোর নামের একটি চালের দোকান থেকে ৫৪ বস্তা সরকারি চাউল জব্দ করে দোকানটি সিলগালা করে দেন। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিদারুল ফেরদাউস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় বড়ঘোপ বাজারে অভিযান চালিয়ে আক্কাস স্টোরের চালের দোকান থেকে সরকারি সীলমোহরের ৫৪ বস্তা চাল জব্দ করে দোকানটি সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, দোকানের মালিক আক্কাসের ভাষ্য মতে, বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাছির উদ্দিনের কাছ থেকে প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে মোট ৫ টন সরকারি চাল ক্রয় করে আক্কাস। এ পর্যন্ত ২ টন চাল বিক্রি করেছেন তিনি।
এব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সুপ্রভাত চাকমা বলেন, সরকারি চাল খোলাবাজারের বিক্রির সত্যতা পাওয়া গেছে। ওই দোকানে ৫৪ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চাল আটকের পর দোকানটি সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেলায় মিটিংয়ে থাকায় এখনো কোনো ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এব্যাপারে জানতে বড়ঘোপ ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, মেম্বার নাছির ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে সরকারি খয়রাতের চাউল জব্দ করা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে অনেকেই জানিয়েছেন, চালগুলো কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (টিআর, কাবিখা) প্রকল্পের হতে পারে। এই মেম্বার প্রতিটি প্রকল্প টি আর কাবিখা, ভিজিএফ, ঈদ উৎসবসহ বিভিন্নসময় সরকার থেকে বরাদ্দপ্রাপ্ত চাউল বিতরণ না করে বাজারে বিক্রি করে দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।