কাল হালকা বৃষ্টির পর শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস

94

গেল দুই দিন মাঝে মাঝে সূর্যের উঁকিতে তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ‘হালকা’ বৃষ্টি এবং তারপর আরেকটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তাতে ২৮ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আবার কমে আসবে। তখন একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে’।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ওই সময় থার্মোমিটারের পারদ ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল।
আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এই সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত থাকতে পারে ঘন কুয়াশা। খবর বিডিনিউজের
এবার পৌষের চতুর্থ দিনেই মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের দেখা পায় বাংলাদেশ। ১৯ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় পারদ নামে ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসায় এবং দিনভর কুয়াশায় সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ, বৃদ্ধ ও শিশুরা।
২১ ডিসেম্বর শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেলেও কনকনে উত্তুরে হাওয়া এবং জলীয় বাষ্পভরা আর্দ্র বাতাসে শীতের তীব্র অনুভূতি থেকেই যায়। পরদিন তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে। সোমবার সকালে সূর্যের হাসি শীতার্ত মানুষের মনে এনে দেয় খানিকটা স্বস্তি। রাজধানীতে গতকাল মঙ্গলবারও রোদের দেখা মেলায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে।
তীব্র শীতের মধ্যে ঘন কুয়াশায় ফেরি পারাপারে সমস্যা হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে। আর শীতজনিত রোগ নিয়ে দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ চলছে গত এক সপ্তাহ ধরেই।
আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের জরুরি বার্তা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঘন কুয়াশা ও শীতের সময়ে রাতে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তীব্র শীতে থ্রিপস পোকার আক্রমণ, চারা পোড়া ও ঝলসানো রোগের প্রকোপ থেকে কিভাবে বীজতলা বাঁচানো যাবে, সেই নির্দেশনাও রয়েছে ওই বার্তায়।
কৃষি বিভাগ বলেছে, জমিতে থ্রিপস পোকার আক্রমণ হলে ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে হবে। আক্রমণ বেশি হলে ম্যালাথিয়ন, আইসোপ্রোকার্ব, কার্বালিক, ক্লোরোপাইরিফস গ্রূপের অনুমোদিত কীটনাশক অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
আর চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ দেখা দিলে বীজতলায় পানি ধরে রাখতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলিলিটার হারে আজোক্সিস্ট্রাবিন বা পাইরোকোস্ট্রাবিন জাতীয় ছত্রাকনাশক মিশিয়ে দুপুরের পরে বীজতলায় স্প্রে করতে হবে। খবর বিডিনিউজের