কাতার থেকে আরও এলএনজি চায় বাংলাদেশ

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

কাতারকে আরও বেশি পরিমাণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল সোমবার কাতারের দোহায় দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ের বৈঠকে (এফওসি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই অনুরোধ জানান।
বৈঠকের খবর দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে শিল্প খাতের অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত এলএনজি সরবরাহের বিষয় বিবেচনা করতে কাতারের মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি (শাহরিয়ার আলম)। খবর বিডিনিউজ।
কাতারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
২০১৭ সাল থেকে ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে এলএনজি আমদানি করে আসছে বাংলাদেশ। কাতারের রাশ লাফান লিক্যুফাইড ন্যাচারাল গ্যাস কম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ওই চুক্তির আওতায় বার্ষিক ১.৮ থেকে ২.৫ মিলিয়ন টন এলএনজি পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সাইড লেটার চুক্তির মাধ্যমে এর অতিরিক্ত হিসেবে বছরে আরও ১ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানির জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু কাতার তাতে সাড়া দেয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের বৈঠকে মানবসম্পদ উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা, ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, কূটনীতিকদের জন্য ভিসা সহজিকরণ, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও সিভিল এভিয়েশন খাতে সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশের হাই টেক পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল, নির্মাণ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে বাড়াতে কাতারকে অনুরোধ করেছেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে বলেছেন কাতারের প্রতিমন্ত্রী আল-মুরাইখি।
বাংলাদেশ থেকে নার্স, চিকিৎসাকর্মী ও কারিগরি কর্মী নিতে আগ্রহের কথা বৈঠকে জানিয়েছে কাতার।
বাংলাদেশ ও কাতারের কূটনৈতিক, সরকারি কর্মকর্তা ও বিশেষ পাসপোর্টধারীদের ভিসা ছাড়া প্রবেশাধিকারের বিষয়ে একটি চুক্তিতে সই করেছেন দুই প্রতিমন্ত্রী।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে দ্বৈত-কর প্রত্যাহার, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, আইনি বিষয়ে সহায়তার বিষয়ে চুক্তির পাশাপাশি শিক্ষা এবং ওয়াকফ ও ইসলামী বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করতে বৈঠকে একমত হয়েছে দেই দেশ।
দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেইন অফিস কনসালটেশনের ধারাবাহিকতায় আগামী বছর ঢাকায় পরবর্তী সভা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।