ওমরাহ ভিসা পাচ্ছেন একাকী নারীরা

9

পূর্বদেশ ডেস্ক

যেসব নারীদের হজ বা ওমরাহ করার ইচ্ছে আছে কিন্তু বৈধ পুরুষ সঙ্গী না থাকায় কিংবা ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ায় যেতে পারেননি তাদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরবের কর্তৃপক্ষ। নারীরা এখন থেকে একাকী হজ কিংবা ওমরা পালন করতে পারবেন। এজন্য তাদের সঙ্গে কোনো মাহরাম বা পুরুষ সঙ্গী থাকা আর বাধ্যতামূলক হবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে কার্যকর হয়ে গেছে। কয়েকজন বাংলাদেশি নারী এরই মধ্যে বৈধ পুরুষ সঙ্গী ছাড়া একাকী হজে যাওয়ার জন্য ভিসাও পেয়ে গেছেন।
কয়েকদিন আগে মিশরে সৌদি দূতাবাসে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ওই ঘোষণা দেন। মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সৌদি গেজেট এই খবর দেয়।
গত ১০ অক্টোবর সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ মিশরে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এখন থেকে হজ ও ওমরাহ পালনে নারীরা একাই সৌদি আরবে যেতে পারবেন, তাদের সঙ্গে মাহরাম বা পুরুষ সঙ্গী থাকার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। খবর বিবিসি।
এতদিন ধরে নিয়ম ছিল যে, কোনো নারী হজ বা ওমরাহ করতে সৌদি আরবে যেতে চাইলে সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী থাকতে হতো। সেই তিনি হবেন এমন যার সামনে নারীর দেখা দেয়া বৈধ – অর্থাৎ স্বামী, পিতা বা ছেলে সন্তান হতে পারবেন মাহরাম।
হজে যেতে হলে আরেকজন সঙ্গীকে নেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় বাংলাদেশের মতো অনেক দেশের নারী মুসলমানরা অনুৎসাহিত হয়ে পড়তেন।
সৌদি মন্ত্রী জানিয়েছেন, ওমরাহর ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো কোটা বা সীমাবদ্ধতা নেই। সারা বিশ্ব থেকেই মানুষ যেকোনো ধরনের ভিসায় সৌদি আরবে এসে ওমরাহ করতে পারেন।
সৌদি মন্ত্রী বলেন, হজ এবং ওমরাহ করতে হাজীদের ব্যয়ভার যাতে কমে আসে, সেই চেষ্টা করছে সৌদি আরব। কিন্তু খরচের বিষয়টির সঙ্গে অনেকগুলো উপাদান যুক্ত। সেসব বিবেচনায় সৌদি সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিন আগে সৌদি মন্ত্রী এই ঘোষণা দিলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা কোন চিঠি পাননি। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মতিউল ইসলাম বলেছেন, সৌদি মন্ত্রীর ওই ঘোষণার বিষয়টি আমরাও নানা গণমাধ্যমের খবরে দেখেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো সৌদি সরকার বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।
তবে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলছেন, সৌদি মন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের পরপরই সেটি কার্যকর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে কয়েকজন নারী এর মধ্যে ভিসাও পেয়েছেন। তবে হজের সময় কী নিয়মকানুন বা শর্ত আসতে পারে, সেটা তখন বোঝা যাবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।