এক বছরে রেকর্ড সংখ্যক মামলার নিষ্পত্তি

15

শহীদুল ইসলাম বাবর, সাতকানিয়া

দীর্ঘদিন মামলাজটের পর এবার মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড করেছে সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত। এক বছরে (সরকারি ছুটি ব্যতীত) কর্মদিবসে নিষ্পত্তি হয়েছে বিভিন্ন আইটেমের ১ হাজার ২ শত ৩৬টি মামলা। দ্রæততম সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা বাড়ছে মানুষের। পাশাপাশি কমছে মামলা ব্যয় ও ভোগান্তি। আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিচারপ্রার্থী ও বিচারকার্য সহায়তায় নিয়োজিত একাধিক আইনজীবীদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিচারক হিসেবে সিনিয়র সহকারী জজ মুহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল কর্মরত রয়েছেন।
আদালতের সেরেস্তাদার সন্তোষ ভট্টাচার্য জানান, স্বত্ত্ব ও অপর মামলা ৪ হাজার ৮শত ৯২টি, পারিবারিক মামলা ৯৬টি, মানি মামলা ১১টি, মিচ অগ্রক্রয় মামলা ৮৩টি, মিচ অন্যান্য বিবিধ মামলা ১ শত ৯৩টি, মিচ পারিবারিক মামলা ৯টি, ঘর ভাড়া মামলা ১১টি, মিচ আপিল মামলা ২টি, অর্পিত মামলা ২ শত ৭৮টি, অপর জারি মামলা ৭৬টি, পারিবারিক জারি মামলা ১শত ৭৭টি, মানি জারি মামলা ১টি, অর্পিতা মিচ মামলা ৭টি মিলিয়ে মোট ৫ হাজার ৮ শত ৩৬টি মামলা চলমান ছিল। তার মধ্যে সর্বমোট ১ হাজার ২ শত ৭৬টি মামলা নিস্পত্তি হয়।
পুরো বছরে কর্মদিবস ছিল ২ শত ৩৬ দিন। প্রতি কর্মদিবসে গড়ে পাঁচটিরও বেশি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ায় সরকার ঘোষিত বিচার বিভাগে গতিশীলতা আনায়নে ব্যাপক সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সাতকানিয়ার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সাতকানিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন কচির। তিনি বলেন, গত বছরে অধিক সংখ্যক মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফলে বিচার প্রাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা অবসান হচ্ছে। এই সংস্কৃতি চালু থাকলে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা আরো অনেক বেশি বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়াও সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, মানুষ যত তাড়াতাড়ি বিচার পাবে, ততই বেশি বিচার বিভাগের আস্থা বাড়বে। আশা করি, দ্রæত বিচার নিষ্পত্তি সংস্কৃতি অব্যাহত থাকবে। আইনজীবী সহকারী নেজাম উদ্দিন বলেন, বিচারের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে বছরের পর বছর ঘোরাঘুরির দিন শেষ হয়ে আসছে। বিচারালয় অনেক বেশি গতিশীলতা এসেছে। ফলে বাড়ছে মানুষের আস্থা ও শ্রদ্ধা।