একাদশে ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

51

কর্ণফুলী উপজেলার কলেজ বাজারস্থ এ জে চৌধুরী কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ফি’র বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক নির্দেশনা দেন কলেজ কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন না বলে অভিযোগ করেন ইউএনও সামশুল তাবরীজ। এ কারণে গত বুধবার বিষয়টি জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন ইউএনও। এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ইউএনও’র দাপ্তরিক বা অন্য কোন মাধ্যমে লিখিত বা মৌখিক কোন ধরনের নির্দেশনা পাননি জানিয়ে বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগটি অতিরঞ্জিত। একটি পক্ষ পানি ঘোলা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে মাত্র ১৫০০ টাকা। কিন্তু ৪ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কর্ণফুলীর কলেজ বাজারস্থ এ জে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজে গত এক সপ্তাহ আগ থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। সেখানে বিভিন্ন খাতে তিন গুণের বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামশুল তাবরীজ কলেজ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দেন। তাতে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামশুল তাবরীজ জানান, অভিযোগ উঠার পর সরকারি নীতিমালার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে একটি পত্র দেয়া হয়। কিন্তু ওই পত্রের আলোকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি কলেজ কর্তৃপক্ষকে। তিনি বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ যে অজুহাতই দেখাক, সরকারি নির্দেশনার বাইরে কোন ধরনের ফি নিতে পারবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষ ইউএনও’র দাপ্তরিক আদেশকে পাত্তা না দেয়ায় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, পদাধিকার বলে ভূমিমন্ত্রী ওই কলেজের সভাপতি। যদি অতিরিক্ত ফি নেয়া হয় তবে সে বিষয়ে মন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন। কলেজকে নিয়ে অতিরঞ্জিত কিছু করা হলে তা ভূমিমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণœ করবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদ অবগত আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার (আজ) তিনি এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেবেন।
এ বিষয়ে এ জে চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত ফি নেয়ার বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে। ভর্তি ফি নেয়া হয়েছে ১৫শ টাকা। কিন্তু প্রচার করা হয়েছে ৪ হাজার ৫শ টাকা নেয়া হয়েছে বলে। কলেজের উন্নয়নসহ অন্যান্য ফি কে ভর্তি ফি বলা যাবে না। সব কলেজেই উন্নয়ন ফি নেন। এ বিষয়ে ইউএনও’র দপ্তর থেকে কোন ধরনের নির্দেশনা তিনি পাননি। শুধুমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। দাপ্তরিক কোন নোটিশ পেলে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। নোটিশ ব্যতিত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে পরিচালনা বোর্ডের সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। যেহেতু ফি আদায়ের বিষয়টি তার একক সিদ্ধান্ত নয়। প্রয়োজনে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, স্থানীয় এমপি ভূমিপ্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জমান চৌধুরী জাবেদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।