উৎসব অনুষ্ঠানে খাবার অপচয় রোধ করা জরুরি

18

 

যতটুকু খেতে পারব ততটুকু খাবার নিব। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কম বেশি সবাই ভোজ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। তার মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠান অন্যতম। এছাড়াও জন্মদিন, গায়ে হলুদ, আক্বদ, বৌভাত, মেজবান, বিশেষ বিশেষ দিন উদযাপন উপলক্ষে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই সব অনুষ্ঠান গুলো নামি-দামি কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব, মাঠে, হোটেল-রেস্তোরাঁয় বা বাসা বাড়িতে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অতিথিদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এতে পরিবার পরিজন, নিকটাত্মীয়, প্রতিবেশি ও বন্ধু বান্ধবদের সাথে দেখা, সময় কাটানো পাশাপাশি একসাথে ভোজন করার সুযোগ হয়। ফলে যেমন ব্যস্ত জীবনে প্রশান্তি মেলে তেমনি সামাজিক বন্ধনও দৃঢ় হয়। কিন্তু এটা লক্ষণীয় যে এই উৎসব অনুষ্ঠানে খাবার অপচয় হয় বেশি। অনুষ্ঠানে ভোজন পর্বে খাদ্য তালিকায় সাধারণত মুখরোচক খাবার পরিবেশিত হয়।
যেমন: পোলাও, মুরগির রোস্ট, কোরমা, কাবাব, মাছ, মাংস, ডিম, সবজি, মিষ্টি জাতীয়- দই, পায়েস, জর্দা, হজম সহায়ক- বোরহানি আরো কত কি! আবার কখনো সাদা ভাত এবং কোমল পানীয়জলের ব্যবস্থা থাকে। যা একজন মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার থেকে বেশি হয়ে যায়। আবার অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার রান্না করা হয়। এছাড়া খাওয়ার সময় প্লেটে খাবার নেওয়া হয় বেশি করে, যার কিছু অংশ খাওয়া হয় আর বাকিটা পড়ে থাকে। এসব খাবারের স্থান হয় ডাস্টবিনে। হোটেল রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন প্রচুর খাবার নষ্ট হয়। আমাদের দেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যে কোন অনুষ্ঠানের অতিরিক্ত খাবার বিতরণ নিয়ে কাজ করে থাকে। যা অতিরিক্ত খাবার অপচয় রোধের পাশাপাশি অনেক অসহায় মানুষের খাবারের ব্যবস্থা হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসেবে প্রতিবছর পৃথিবীতে ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়।